“তারপর যুদ্ধ এল”-কখন যুদ্ধ এসেছিল? যুদ্ধের কোন্ কোন্ প্রভাব কবি তার কবিতায় তুলে ধরেছেন? |
বিপ্লবের টানে যারা ঘর ছেড়েছিল তাদের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হলে এক সময় পরিবর্তনের লক্ষ্যে শুরু হয় যুদ্ধ। রক্তের আগ্নেয় পাহাড়ের অগ্ন্যুৎপাতের মতো সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত সমতলে। নিষ্পাপ শিশুরাও যুদ্ধের হত্যালীলা থেকে বাদ পড়ে না। এমনকি মানুষের মাথার ছাদও ধ্বংসপ্রাক্ত। অর্থাৎ, সাধারণ মানুষ নিরাশ্রয় হয় যুদ্ধের তাণ্ডবে। শুধু মানুষ নয়, হাজার বছর ধরে মন্দিরে ধ্যানমগ্ন থাকা দেবতারাও রেহাই পায় না, তারা-
ঘর ছেড়ে যাওয়া লোকটি একসময় যে বাড়িতে থাকত, ঘুমোত সেই বাড়ি এবং বাড়ির পাশের গোলাপি গাছ, বাড়ির চিমনি কিংবা তার সাধের জলতরঙ্গ-সব স্মৃতিই চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় যুদ্ধের তাণ্ডবে।
স্বৈরাচারী শাসনের নিদারুণ অত্যাচারের সাক্ষী হয়ে থাকে শহরটি, যা এখন ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত হয়েছে। যেখানে শহর ছিল, আজ সেখানে শুধু কাঠকয়লা, দোমড়ানো লোহা, মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা ধ্বংসের চিহ্নরূপে পড়ে থাকে। আর রক্তের কালো দাগ বুকে নিয়ে শহরটি স্মরণ করে অমানুষিক হত্যালীলার কাহিনী। এভাবেই কবি যুদ্ধের প্রভাব তুলে ধরেছেন তাঁর কবিতায়।