জ্ঞানচক্ষু’ গল্প অবলম্বনে তপনের চরিত্র বিশ্লেষণ করো
জ্ঞানচক্ষু’ গল্প অবলম্বনে তপনের চরিত্র বিশ্লেষণ করো। |
জ্ঞানচক্ষু’ গল্প অবলম্বনে তপনের চরিত্র
কল্পনাপ্রবণতা
তপন কল্পনাপ্রবণ। তার কৈশোর মনের রঙিন কল্পনায় সে বিশ্বাস করে লেখক কোনো সাধারণ মানুষ নয়; এমনকি লেখক আকাশ থেকে পড়া কোনো অদ্ভুত জীব।
কৌতূহলী
তপন কৌতূহলী। তাই তার সাহিত্য-অনুরাগী মন এবং লেখক হওয়ার স্বপ্নাকাঙ্ক্ষা ছোটোমাসির বিয়ে উপলক্ষ্যে মামার বাড়িতে লেখক মেসোর সঙ্গে আলাপে কৌতূহলপ্রবণ হয়ে
সাহিত্যপ্রেমিক
নতুন মেসোর দাড়ি কামানো, সিগারেট খাওয়া, গল্প করা ইত্যাদি দৈনন্দিন স্বাভাবিক কার্যাবলি গভীরভাবে লক্ষ করে। তপন সাহিত্যপ্রেমিক। শৈশব থেকেই সে গল্প পড়ে এবং গল্প লেখে। লেখক হওয়ার স্বপ্নে তার দিন কেটে যায়।
অন্তর্মুখী
তপন অন্তর্মুখী। তাই তপন সবার অলক্ষ্যে সৃজনশীল হয়ে ওঠে। তপনের সমবয়সি সকলে খুনজখম অ্যাকসিডেন্ট, অনাহার ইত্যাদি নিয়ে গল্প লিখলেও সে নিজের ভরতি হওয়ার অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি নিয়ে গল্প লেখে। তপন সংবেদনশীল বলেই সে যখন দেখে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায়
সংবেদনশীল
প্রকাশিত ‘প্রথমদিন’ নামক তার লেখা গল্পটি নতুন মেসোর ‘কারেকশান’ করা গল্পের পরিবর্তে নতুন মেসোর নিজস্ব ভঙ্গিতে লেখা সম্পূর্ণ নতুন একটি গল্প, তখন সেই ঘটনার অভিঘাতে সে অপমানিত, দুঃখিত ও স্তম্ভিত হয়ে যায়।
আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন
তপনের আত্মমর্যাদাবোধ প্রবল। তাই গল্প ছাপার প্রসঙ্গে সে অপমানিত হলে দৃঢ়ভাবে সংকল্প নেয় ভবিষ্যতে নিজের লেখা ছাপাতে হলে সে নিজেই যাবে ছাপাখানায়। কারোর সাহায্যে আর গল্প ছাপাবে না।
‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপন চরিত্রে উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো প্রতিফলিত হয়।