ছাত্রছাত্রীদের মূল্যবোধ বৃদ্ধি’ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা

ছাত্রছাত্রীদের মূল্যবোধ বৃদ্ধি' বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা
ছাত্রছাত্রীদের মূল্যবোধ বৃদ্ধি’ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা

সায়ন : গতকাল তোর একটা ব্যবহার কিন্তু আমার বড্ড খারাপ লেগেছে সুজিত।

সুজিত : তোর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছি? আমি!

সায়ন :
আমার সঙ্গে না। রিকশাওয়ালার সঙ্গে। আফটার অল লোকটা কিন্তু তোর বাবার চেয়েও বয়সে বড়ো ছিল রে।

সুজিত : ঠিক বুঝলাম না তুই কী বলতে চাইছিস। আমি আবার গতকাল কোন্ রিকশাওয়ালার সঙ্গে কী খারাপ ব্যবহার করলাম?

সায়ন : গতকাল কোচিং থেকে ফেরার সময় তুই একটা রিকশা ডেকে নিয়ে উঠিসনি?

সুজিত : সায়ন : হ্যাঁ, উঠেছিলাম। তো? তার সঙ্গে তো কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি আমি। তার সঙ্গে ঝগড়াও হয়নি। 

সায়ন :  ঝগড়া করা মানেই খারাপ ব্যবহার আর খারাপ কথা বলা, গরিব বলে মানুষকে ছোটোলোক ভাবা, বয়স্ক রিকশাওয়ালাটাকে ‘তুই’ করে ডাকা সেসব বুঝি খারাপ ব্যবহার না?

সুজিত : এই যাহ, মোটেই আমি রিকশাওয়ালাকে ছোটোলোক ভাবিনি।

সায়ন : তাহলে ‘এই রিকশো, যাবি?’ বললি কী করে? বড়োলোক কাউকে ওভাবে ‘তুই’ করে ডাকতে পারতিস? আমাদের বাড়ির ছোটোরাও কিন্তু বড়োলোক হোক, গরিব হোক, বয়স্ক কাউকে ওভাবে ডাকে না। বাবা আমাদের শিখিয়েছেন গুরুজনদের সম্মান জানাতে। মানুষ হয়ে মানুষের পাশে না দাঁড়ালে; মহিলা, বয়স্ক, সম্মানীয়দের সম্মান না জানালে মানুষ জন্মই ফালতু আমার দাদু একথা বলতেন।

সুজিত :
সরি সায়ন, এভাবে কখনও ভেবে দেখিনি। সত্যি কথা বলতে কি, তোর মতো মূল্যবোধের পাঠ আমি পাইনি রে। তাই…। কথা দিচ্ছি, আর কখনও এরকম হবে না। তবে একটা কথা না বলে পারছি না, তোর কাছে আমার অনুরোধও বলতে পারিস, বড়ো হয়ে তুই টিচার হোস। তাহলে বহু ছাত্রছাত্রী তোর কাছ থেকে মূল্যবোধের পাঠ পাবে।

Leave a Comment