চিত্রসহকারে কর্কটসংক্রান্তি ও মকরসংক্রান্তি আলোচনা করো

চিত্রসহকারে কর্কটসংক্রান্তি ও মকরসংক্রান্তি আলোচনা করো
চিত্রসহকারে কর্কটসংক্রান্তি ও মকরসংক্রান্তি আলোচনা করো।

পৃথিবীর অক্ষ তার কক্ষতলের সঙ্গে সর্বদা 66/½° কোণ করে হেলে থাকা অবস্থায় সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। এর ফলে পর্যায়ক্রমে একবার সূর্যের দিকে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ ঝুঁকে পড়ে আবার একবার পৃথিবীর দক্ষিপ গোলার্ধ সূর্যের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এর ফলে পৃথিবীর দুই গোলার্ধে দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে। দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাস বৃদ্ধির দুটি প্রভাব হল কর্কটসংক্রান্তি এবং মকরসংক্রান্তি।

কর্কটসংক্রান্তি

21 মার্চ তারিখের পর থেকে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ ক্রমাগত সূর্যের দিকে ঝুঁকতে থাকে। এভাবে চলতে চলতে 21 জুন তারিখে সূর্য কর্কটক্রান্তিরেখার (23/½° উ:) ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ওই তারিখে উত্তর গোলার্ধে দিনের দৈর্ঘ্য সবথেকে বেশি হয় ও রাতের দৈর্ঘ্য সবথেকে কম হয়। দক্ষিণ গোলার্ধে এর ঠিক বিপরীত অবস্থা হয়। ওই 21 জুন তারিখকে কর্কটসংক্রান্তি (Summer Solstice) বলা হয়। ওই দিনটিকে উত্তরায়ণের চূড়ান্ত দিন বা শেষ সীমা ধরা হয় অর্থাৎ ওই তারিখে সূর্য নিরক্ষরেখা থেকে সবচেয়ে উত্তরে অবস্থান করে। এজন্য একে ‘উত্তর অয়নান্ত দিবস’ও বলা হয়।

মকরসংক্রান্তি

23 সেপ্টেম্বর তারিখের পর থেকে পৃথিবীর দক্ষিশ গোলার্ধ ক্রমাগত সূর্যের দিকে ঝুঁকিতে থাকে। এভাবে চলতে চলতে 22 ডিসেম্বর তারিখে এমন অবস্থা হয় যে সূর্য মকরক্রান্তিরেখার (23/½° দ:) ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ওই তারিখে দক্ষিণ গোলার্ধে দিনের দৈর্ঘ্য সবথেকে বেশি হয় এবং রাতের দৈর্ঘ্য সবথেকে কম হয়। উত্তর গোলার্ধে এর ঠিক বিপরীত অবস্থা দেখা যায়। ওই 22 ডিসেম্বর তারিখটিকে মকরসংক্রান্তি (Winter Solstice) বলা হয়। ওই দিনটিকে দক্ষিণায়নের চূড়ান্ত দিন বা শেষ সীমা ধরা হয়, ওই দিন অর্থাৎ সূর্য নিরক্ষরেখার সর্বাপেক্ষা দক্ষিণে অবস্থান করে। এজন্য ওই তারিখকে ‘দক্ষিণ অয়নান্ত দিবস’ও বলা হয়।

Leave a Comment