দেবদীপ: হ্যাঁ, আমি স্কুলে আসার সময় শুনছিলাম।
ঋতম: ভেবে দেখ, একুশ শতকের এই আধুনিক সভ্যতার যুগেও মানুষ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে।
দেবদীপ : আর তা ছাড়া কুসংস্কারাচ্ছন্নতার ঠিক এই ঘটনাই আগেও হয়েছে এবং তা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে প্রচুর।
ঋতম: আসলে এই মানুষগুলোর এখনও চেতনার উন্মেষ হয়নি।
দেবদীপ : কিন্তু এই কুসংস্কার, অযৌক্তিক, অবৈজ্ঞানিক মানসিকতার প্রকাশ যুক্তিবাদী, প্রগতিশীল মনন ও জীবনের বিপরীত।
ঋতম: এই কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বিজ্ঞানচেতনার লড়াই তাই দীর্ঘদিনের।
দেবদীপ: মানুষ যেদিন বিজ্ঞানসচেতন হল সেদিন থেকে সে প্রকৃতিকে বশ করতে শিখল। কিন্তু তবু কেন আজও এই পশ্চাৎপদতা বলতে পারিস?
ঋতম: হয়তো বিপুল এই মহাবিশ্বের অসীম রহস্যকে সে উদ্ঘাটন করতে পারেনি বলেই মানুষ আজও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন।
দেবদীপ : আসলে মানুষের যুক্তিবোধ ও বিজ্ঞানমনস্কতাকে জোরদার করতে হবে।
ঋতম: আবার দেখ, যখন যে-কোনো বিষয়েই প্রথম কুসংস্কারকে ভেঙে যুক্তিযুক্ত কথা বলা হয়, তখনই হয়েছে বিরোধিতা।
দেবদীপ: সে তো বটেই। গ্যালিলিও যখন প্রথম দূরবিন আবিষ্কার করে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে, এই সত্য প্রকাশ করলেন, তখন ধর্মযাজক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলে; এমনকি তাঁর কারাদণ্ডও হয়েছিল।
ঋতম: মনে করে দেখ না, ‘অচলায়তন’ নাটকে সুভদ্র তিনশো পঁয়তাল্লিশ বছরের আগল মুক্ত করায় কেমন চাঞ্চল্য হয়েছিল?
দেবদীপ: বিজ্ঞানই পারে মানুষের বিশ্লেষণী ক্ষমতাকে জাগ্রত করতে। ঋতম: মানুষ যত বিজ্ঞানমনস্ক হবে ততই সে সচেতন হবে।
দেবদীপ: ঠিক। আর তখনই মানুষ কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে।
ঋতম: এভাবেই আমরা আশা করতে পারি যে, কুসংস্কারের বিপ্রতীপে বিজ্ঞানমনস্কতার জয় সূচিত হবে।