“কারো বুকে নালিশ নেই, কারো মনে প্রতিবাদ নেই।” – কাদের কথা বলা হয়েছে । কোন্ বিষয়ে কেন তাদের নালিশ ও প্রতিবাদ নেই
“কারো বুকে নালিশ নেই, কারো মনে প্রতিবাদ নেই।” – কাদের কথা বলা হয়েছে? কোন্ বিষয়ে কেন তাদের নালিশ ও প্রতিবাদ নেই? |
উদ্দিষ্ট ব্যক্তি
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্প থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে দুর্ভিক্ষের সময় খাবারের সন্ধানে গ্রাম থেকে শহরে আসা নিরন্ন মানুষের কথা বলা হয়েছে।
যে বিষয়ে নালিশ নেই
‘অনাহারে মৃত্যু’ দেখার পর মৃত্যুঞ্জয় স্বাভাবিক জীবনের সচ্ছলতা থেকে সরে আসে। সে শহরের আদি-অন্তহীন ফুটপাথে ঘোরে, লঙ্গরখানায় নিরন্ন মানুষদের সঙ্গে আলাপ করে। প্রথম প্রথম সে শুনত তাদের দুঃখদুর্দশার কথা, পরে দেখেছে তাদের সবার মুখে একই দুর্ভাগ্যের কাহিনি। এত কষ্ট সহ্য করেও তারা কোনো নালিশ বা প্রতিবাদ করে না, একমুঠো খাবারের আশায় খাদ্যের সারিতে দাঁড়িয়ে কেবল কাড়াকাড়ি-মারামারি করে।
কারণ
নিরন্ন মানুষ নিজের সর্বস্ব হারিয়ে শুধু বেঁচে থাকার শেষ লড়াই লড়তে এসেছে। তারা নিজেদের স্বাভাবিক দাবি, অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়। সামাজিক অবক্ষয়ের শিকার এসমস্ত মানুষ প্রতিবাদের শক্তি হারিয়েছে। তারা পরনির্ভরশীল, এক মুঠো খাবারের জন্য হাহাকার তাদের মনুষ্যত্ব, মানবিকতা কেড়ে নিয়েছে। কোনোমতে খিদের জ্বালা মেটানো যাদের একমাত্র উদ্দেশ্য, লঙ্গরখানায় শেষ অন্নটুকুও না জোটার চিন্তায় তারা নালিশ বা প্রতিবাদ করতে ভয় পায়।
আরও পড়ুন – শৈশবের স্মৃতি রচনা