“এদেশের স্ত্রী-লোকেরা জোঁক দেখিলে ভয় পায় না।”–কারা, কেন জোঁককে ভয় পায় না? তাদের পোশাক ও জীবিকার পরিচয় দাও

“এদেশের স্ত্রী-লোকেরা জোঁক দেখিলে ভয় পায় না।”–কারা, কেন জোঁককে ভয় পায় না? তাদের পোশাক ও জীবিকার পরিচয় দাও
“এদেশের স্ত্রী-লোকেরা জোঁক দেখিলে ভয় পায় না।”–কারা, কেন জোঁককে ভয় পায় না? তাদের পোশাক ও জীবিকার পরিচয় দাও

উদ্ধৃত অংশটি বেগম রোকেয়া রচিত ‘হিমালয় দর্শন’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে ভুটিয়ানিদের কথা বলা হয়েছে, যারা জোঁককে ভয় পায় না।

ভুটিয়ানিরা কষ্টসহিষু ও কর্মপ্রিয়। নানা প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে তারা বেঁচে থাকে। তাদের মতে জোঁক তেমন কোনো ক্ষতি করতে পারে না, কেবলমাত্র রক্তপান করেই চলে যায়। এই কারণেই উক্ত স্থানের মহিলারা জোঁক দেখলে ভয় পায় না।

পোশাক

লেখিকার উক্তি থেকে জানা যায় যে ভুটিয়ানিরা সাত গজ লম্বা কাপড় ঘাগরার মতো করে পরিধান করে। তাদের কোমরে বা একখণ্ড কাপড় জড়ানো থাকে, গায়ে থাকে জ্যাকেট আর মাথায় আবৃত থাকে বিলাতি শাল। ভুটিয়ানিদের জীবিকা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তারা অত্যন্ত কর্মঠ ও শ্রমশীলা ।

ভুটিয়ানিদের জীবিকা

যে পথ দেখলে আমাদের অর্থাৎ সমতলবাসীদের সমস্ত সাহস মুহূর্তে হারিয়ে যায়, সেই পার্বত্য বিপৎসংকুল পথে ভুটিয়ানিরা অবলীলায় পিঠে বোঝা নিয়ে ওঠা-নামা করে। লেখিকা তাই বলেছেন – -“পৃষ্ঠে দুই এক মন বোঝা লইয়া অনায়াসে প্রস্তর-সঙ্কুল আবুড়াখাবুড়া পথ বহিয়া উচ্চে উঠে : ঐরূপ নীচেও যায়।” উদরান্নের জন্য এরা পুরুষদের ওপর নির্ভরশীল নয়, এরা সমভাবে উপার্জন করে। পথ তৈরির কাজে অধিকাংশ মহিলাই পাথর বয়ে আনে, পুরুষেরা পাথর বহন করে না। পথে পাথর বিছানোর কাজে বালিকারাও অংশগ্রহণ করে থাকে। আলোচ্য প্রবন্ধে ভুটিয়ানিদের পোশাক ও জীবিকার এমন পরিচয়ই পাওয়া যায়।

Leave a Comment