এখন পালকের কলম দেখতে হলে পুরানো দিনের তৈলচিত্র কিংবা ফটোগ্রাফ ছাড়া গতি নেই-পালকের কলমের মতো পুরানো দিনের নানা ধরনের কলমের অতীত ও বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে লেখো

"এখন পালকের কলম দেখতে হলে পুরানো দিনের তৈলচিত্র কিংবা ফটোগ্রাফ ছাড়া গতি নেই।"-পালকের কলমের মতো পুরানো দিনের নানা ধরনের কলমের অতীত ও বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে লেখো
“এখন পালকের কলম দেখতে হলে পুরানো দিনের তৈলচিত্র কিংবা ফটোগ্রাফ ছাড়া গতি নেই।”-পালকের কলমের মতো পুরানো দিনের নানা ধরনের কলমের অতীত ও বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে লেখো।
শ্রীপান্থর ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে অতীতকাল থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত কলমের রূপ ও বিবর্তন সম্পর্কে আলোচনা উপস্থাপিত হয়েছে। লেখালেখির সূচনা লগ্নে কলম তৈরি হত বাঁশের সরু কঞ্চি, খাগ কিংবা পাখির পালক দিয়ে। বর্তমানে খাগের কলম কিংবা কঞ্চির কলম আর দেখা যায় না। একমাত্র সরস্বতী পূজাতে দোয়াতে কালির বদলে দুধ রেখে তার মধ্যে খাগের কলম দেওয়া হয়। পাখির পালকের কলম যার ইংরেজি নাম ‘কুইল’ তা আর দেখাই যায় না। কেবলমাত্র পুরোনো দিনের তৈলচিত্র কিংবা ফটোগ্রাফে পালকের কলমের ছবি রয়েছে। ওই কলম তৈরি করার জন্য পেনসিল শার্পনারের মতো ধারালো ব্লেড লাগানো একটি যন্ত্রও তৈরি করেছিল ইংরেজ সাহেবরা। উইলিয়াম জোনস কিংবা মুনশিদের সঙ্গে কেরি সাহেবের যে ছবিটি পাওয়া যায়, তাতে দোয়াতে গোঁজা পালকের কলম দেখা যায়।

বর্তমানে দোয়াত-কলমের জায়গা অধিকার করে নিয়েছে বল পেন। দোয়াত-কলম এখন ঘর সাজানোর বস্তু হিসেবে পাওয়া যায় কিংবা কোনো কোনো অফিসে টেবিলে রাখা দোয়াতের মধ্যে ছদ্মবেশী যে কলমটি থাকে সেটি হল বল পেন। এই বল পেন আধুনিক প্রযুক্তিতে এত সস্তা ও বহুল উপযোগী হয়ে উঠেছে যে, কলম আজ পণ্ডিত থেকে স্বল্পশিক্ষিত প্রত্যেকের কাছে সহজলভ্য ও নিত্য প্রয়োজনের সামগ্রী হয়ে উঠেছে। কলমের বিক্রি বাড়ায় বিক্রেতার সংখ্যাও বেড়ে গেছে। কিছুকাল আগে পর্যন্ত কলকাতার চৌরঙ্গি অঞ্চলে ভ্রমণশীল প্রতি তিনজন ফেরিওয়ালার মধ্যে একজন কলম বিক্রেতা ছিল। অতি আধুনিককালে কম্পিউটার সহজলভ্য হওয়ায় বল পেনের ব্যবহারও অনেকাংশে কমেছে।

Leave a Comment