‘একাসনে বসে লিখেও ফেলল আস্ত একটা গল্প।’-কে, কোথায় একাসনে বসে আস্ত একটা গল্প লিখে ফেলেছিল? সেই গল্প লেখার প্রেরণা সে কীভাবে পেয়েছিল? তার গল্প লিখে ফেলার অনুভূতি তুলে ধরো। |
আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে উল্লিখিত তপন তার মামার বাড়ির তিনতলার সিঁড়িতে দুপুরবেলায় উঠে গিয়ে একাসনে বসে আস্ত একটা গল্প লিখে ফেলেছিল।
লেখকদের সম্পর্কে তপনের ধারণা ছিল-তাঁরা সাধারণ মানুষ নন। তাঁদের কাজকর্ম-আচার-ব্যবহারও সাধারণ মানুষের মতো নয়। কিন্তু নিজের লেখক মেসোকে দেখে তপন নিজের ভুল বুঝতে পারে। বুঝতে পারে যে, লেখকরাও সাধারণ মানুষ। সেটা বুঝতে পেরে তপনের মনে হয়, সাধারণ মানুষ হয়েও লেখকরা যদি গল্প লিখতে পারেন, তাহলে তারও গল্প লিখতে বাধা নেই। এভাবেই তপন গল্প লেখার প্রেরণা পেয়েছিল।
দুপুরবেলা সবাই যখন নিথর নিথর, সেই সময় তপন চুপি চুপি হোমটাস্কের একটা খাতা আর পেন নিয়ে মামার বাড়ির তিনতলার সিঁড়িতে উঠে যায় এবং একটানা একটা গল্প লিখে ফেলে। গল্পটা লিখে ফেলার পর সেটা পড়েও ফেলে তপন। তখনই তার মধ্যে জেগে ওঠে এক অন্য ধরনের অনুভূতি-
গায়ে কাঁটা দেওয়া
তপনের গায়ের মধ্যে কাঁটা দিয়ে ওঠে। তাই শুধু নয়, সেই অনুভূতির প্রভাবে খাড়া
হয়ে ওঠে তার মাথার চুলও।
লেখক হবার অনুভূতি
তপনের মনে হতে থাকে এ কী ব্যাপার। এ যে সত্যিই হুবহু গল্পের মতোই লাগছে। সত্যিকারের একটা গল্প লিখে ফেলার অনুভূতিতে নিজেকে লেখক-লেখকও মনে হতে থাকে তার।
ভয়ানক উত্তেজনা অনুভব
গল্প লিখে ফেলার অনুভূতিতে হঠাৎ ভয়ানক একটা উত্তেজনা অনুভব করতে শুরু করে তপন। সেই উত্তেজনা ভীষণ এক আনন্দের।
-এরকম উত্তেজনা অনুভবের প্রতিক্রিয়ায় সিঁড়ি থেকে দুদ্দাড়িয়ে নীচে নেমে এসে আনন্দের খবরটা সবার আগে ছোটোমাসিকেই দিয়ে বসে তপন।