এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল -কে অপেক্ষা করছিল? তার পরিণতি কী হয়েছিল – আজকের পর্বে এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল -কে অপেক্ষা করছিল? তার পরিণতি কী হয়েছিল তা আলোচনা করা হল।
এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল -কে অপেক্ষা করছিল? তার পরিণতি কী হয়েছিল
“এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল!”-কে অপেক্ষা করছিল? তার পরিণতি কী হয়েছিল? |
জীবনানন্দ দাশ রচিত ‘বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থের ‘শিকার’ কবিতায় বর্ণিত একটি সুন্দর বাদামি হরিণকে উদ্ধৃতাংশে নির্দেশ করা হয়েছে।
পরিণতি
কবিতায় বর্ণিত বাদামি হরিণটি তার ‘সাহসে সাধে সৌন্দর্যে’ হরিণীর পর হরিণীকে চমক লাগিয়ে দেওয়ার জন্য সারারাত চিতাবাঘিনির হাত থেকে আত্মরক্ষা করে। সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরে ক্লান্ত, অবসন্ন দেহ নিয়ে হরিণটি ভোরের আলোয় নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে নামে। শরীরকে একটা আবেশ দিয়ে রাত্রির শীতল অন্ধকার-ছেঁড়া ভোরের রৌদ্রের মতো উল্লাসে সে জেগে ওঠে।
নতুন বাঁচার স্বপ্নে, হরিণীর পর হরিণীকে মুগ্ধ করে দেওয়ার আশায় হরিণটি যখন চঞ্চল, তখনই নাগরিক সভ্য মানুষের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। তার তাজা প্রাণের রক্তে নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল হয়ে যায়। সুন্দর ভোরের প্রেক্ষাপটে হরিণটি নাগরিক মানুষের শিকারে পরিণত হয়। তারা উয় লাল হরিণের মাংস তৈরি করে এনে নিজেদের সাধ পূরণ করে। সারারাত চিতাবাঘিনির আক্রমণ থেকে হরিণটি নিজেকে বাঁচালেও সে তার অজান্তে মানুষের শিকার হয়ে যায়।