আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো
আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো।
আধুনিক কবিতা বক্তব্য বিষয়ে এবং আঙ্গিকে স্বতন্ত্র। আধুনিক কবিরা কবিতা রচনার সময় সমাজ বা রাষ্ট্রের অনেক গভীর সমস্যার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন। তাই কবিতার নামকরণের ক্ষেত্রেও তাদের প্রচলিত রীতি ভাঙতে দেখা যায়।

আলোচ্য ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবি শঙ্খ ঘোষ স্বল্প পরিসরে সমাজব্যবস্থার অবক্ষয়িত রূপটি তুলে ধরেছেন। সমাজব্যবস্থায় এক স্বার্থান্বেষী চক্র সাধারণ মানুষের বাঁচার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ রুদ্ধ করেছে, ভেঙে দিয়েছে আশ্রয়স্থল। শিশুদেরকে হত্যা করে তারা বিপন্ন মানুষের মনে ত্রাস সৃষ্টি করেছে। অর্থনৈতিক আর সামাজিক শোষণে তাই মানুষ ভিখারি। এসব বঞ্চিত মানুষের নেই কোনো ইতিহাস। পৃথিবীতে কেউ তাদের কথা মনে রাখে না।

কবি আশাবাদী, তাই হতাশা ছাপিয়ে আশাবাদ ধ্বনিত হয়েছে। প্রথম স্তবকের শেষে “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি”-এর মধ্য দিয়ে যে আহ্বান তা দ্বিতীয় স্তবকের শেষে আরও গভীর হয়েছে-“আয় আরো হাতে হাত রেখে” পঙ্ক্তির ব্যবহারে। বারবার একই সুরে নিপীড়িত, হতাশ মানুষকে আহ্বানের মধ্য দিয়ে-“আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” পঙ্ক্তিটি যেন প্রবাদে পরিণত হয়েছে। তাই কবিতার ওই বিশেষ পঙ্ক্তিটি ব্যবহারে কবিতার মূল সুরটি প্রকাশ পেয়েছে। এ কারণে কবিতার নামকরণে “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” পঙ্ক্তিটির ব্যবহার মোটেই অযৌক্তিক নয়।

Leave a Comment