আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন -কেন কবি এই জীবনকে দুঃখের তপস্যা বলেছেন

আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন -কেন কবি এই জীবনকে দুঃখের তপস্যা বলেছেন – আজকের পর্বে আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন -কেন কবি এই জীবনকে দুঃখের তপস্যা বলেছেন কেন তা আলোচনা করা হল।

    আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন -কেন কবি এই জীবনকে দুঃখের তপস্যা বলেছেন

    "আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন"-কেন কবি এই জীবনকে দুঃখের তপস্যা বলেছেন? অথবা, "আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন"-এখানে কবির মনোভাবে যে বিবর্তনের ছবি পাওয়া যায় তা উল্লেখ করো
    “আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন”-কেন কবি এই জীবনকে দুঃখের তপস্যা বলেছেন? 

    জীবনকে ‘দুঃখের তপস্যা’ বলার কারণ

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘শেষ লেখা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় জীবনের অনিবার্য সত্যকে ব্যক্ত করেছেন। জীবনে চলার পথে কবি প্রতিনিয়ত দুঃখ, মৃত্যু, জরায় আহত হয়েছেন। জীবনে দুঃখ, মৃত্যুর ছলনা ও মিথ্যা আশ্বাসে কবি প্রতারিত হয়েছেন বারবার। কিন্তু জীবনের সেই বাস্তবতায় তিনি ‘আপনার রূপ’ চিনেছেন ‘আঘাতে আঘাতে, বেদনায় বেদনায়।’ তাই জীবনের স্বপ্নাচ্ছন্নতা দূর করে কঠিন সত্যকে ভালোবেসেছেন।

    জীবনের ধারায় সুখ ও দুঃখ অনবরত প্রবাহিত হয়। জীবনের স্বরূপ উপলব্ধি করে কবি মনে করেছেন এ জীবন অনন্ত দুঃখ ও ব্যথায় পূর্ণ। বাস্তবতার নির্মম আঘাতে কবির চেতনার জাগরণ ঘটেছে। তাই তিনি উপলব্ধি করেছেন দুঃখের চিরন্তন তপস্যার মধ্য দিয়ে জীবনসত্যকে অনুভব করা সম্ভব।

    Leave a Comment