“আমি ছিলাম কালি কলমের ভক্ত।”-বক্তা কে? প্রবন্ধ অনুসারে রকমারি কালি কলমের বিবরণ দাও। |
উদ্ধৃতাংশে কালি-কলম বলতে দোয়াত আর নিবের কলমকে বোঝানো হয়েছে। প্রাবন্ধিক সেই কালি-কলমের প্রতি নিজের আত্যন্তিক প্রীতি বর্ণনা প্রসঙ্গে বিভিন্ন প্রকারের কালি ও কলমের উল্লেখ করেছেন। সাধারণত কাঠ বা ধাতুর তৈরি হ্যান্ডেলের মাথায় নিব লাগানো থাকত। ছুঁচোলো মুখের নিব যেমন পাওয়া যেত, তেমনি চওড়া মুখের নিবও পাওয়া যেত। বিদেশে নানা ধরনের উন্নতমানের নিব তৈরি হত, যার উপাদান ছিল গোরুর শিং কিংবা কচ্ছপের খোল। এইসব উন্নত মানের নিব খুবই টেকসই হত। শৌখিনতার জন্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিংয়ের নিবের মুখে বসানো হত হিরে। আবার সোনা, প্ল্যাটিনাম প্রভৃতি ধাতুর প্রয়োগে পেনগুলিকে মূল্যবান করে তোলা হত। এই নিবের কলমের কালি তৈরির জন্য ট্যাবলেট পাওয়া যেত। নীল ও লাল দুই রঙের বড়িই পাওয়া যেত।
এই নিবের কলমের লেখা শুকোনোর জন্য এক সময় বালি ব্যবহৃত হত, পরে ব্লটিং পেপার প্রযুক্ত হত। লেখক শ্রীপান্থ ফাউন্টেন পেন ব্যবহারের আগে নিবের পেন ব্যবহার করতেন। কিন্তু তিনি যখন কলেজে পড়তেন তখন থেকে নানা দামের ফাউন্টেন পেন বাজারে আসায় দোয়াত আর কলমকে বিদায় জানান। শিক্ষিত মানুষের বাড়িতে, অফিসে বা আদালতে বর্তমানে আর দোয়াত কলম দেখা যায় না। সেগুলি এখন শো-পিস বা সাজিয়ে রাখার আসবাব রূপে ব্যবহৃত হয়।