আমার মনে পড়ে প্রথম ফাউন্টেন কেনার কথা—লেখক কোথায় ফাউন্টেন কিনতে গিয়েছিলেন? তাঁর কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল

"আমার মনে পড়ে প্রথম ফাউন্টেন কেনার কথা।”—লেখক কোথায় ফাউন্টেন কিনতে গিয়েছিলেন? তাঁর কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল
“আমার মনে পড়ে প্রথম ফাউন্টেন কেনার কথা।”—লেখক কোথায় ফাউন্টেন কিনতে গিয়েছিলেন? তাঁর কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল?
‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থ ফাউন্টেন পেন কিনতে কলেজ স্ট্রিটের একটি নামি দোকানে গিয়েছিলেন।

লেখক শ্রীপান্থ যখন কলকাতার কলেজে পড়েন তখন সমস্ত ছাত্রছাত্রী ফাউন্টেন পেন ব্যবহার শুরু করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের এক নামি দোকানে ফাউন্টেন পেন কিনতে গিয়ে লেখক বিচিত্র অভিজ্ঞতা লাভ করেন। দোকানি লেখকের কাছে জানতে চান কী ধরনের ঝরনা কলম তিনি চান। কিন্তু অনভিজ্ঞ লেখক ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলে দোকানদার তাঁকে পার্কার, শেফার্ড, ওয়াটারম্যান, সোয়ান, পাইলট ইত্যাদি পেনের নাম গড় গড় করে বলে যান, সঙ্গে কোন্টির কী দাম তাও বলেন।

লেখকের ক্রয়ক্ষমতা আন্দাজ করতে পেরে দোকানি তাঁকে সস্তা জাপানি পাইলট কিনতে পরামর্শ দেন। বিক্রেতা জাপানি পাইলটের বিশেষত্ব বোঝাতে কলমটির ঢাকনা খুলে টেবিলের পাশে দাঁড় করানো কাঠের বোর্ডের উপর ছুড়ে দেন, কলমের নিবটি বোর্ডে গেঁথে গেলেও খুলে দেখা গেল নিবটি আগের মতো অক্ষত রয়েছে। লেখাও পড়ছে আগের মতোই। লেখক সেদিন-“সেই জাদু-পাইলট নিয়েই ঘরে ফিরেছিলেন।” পরে আরও নানা জাতের ফাউন্টেন পেন হাতে এলেও অনেকদিন পর্যন্ত যত্ন করে রেখিছিলেন সেই জাপানি জাদু পাইলটকে।

Leave a Comment