“আমাদের পথ নেই আর”-কাদের পথ নেই? পথ না থাকার কারণ কী? এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে কোন্ ব্যবস্থার কথা কবি বলেছেন? |
সমাজে চলেছে এক অরাজক পরিস্থিতি। যার প্রভাবে সাধারণ মানুষ সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক শোষণের শিকার। এই বিপন্ন মানুষদের চলার পথ রুদ্ধ, ডানদিকে ধস আর বামে রয়েছে গিরিখাত। মাথার উপরে বোমারুর ভয় আর পায়ের নীচে হিমানীর বাঁধ। তাই পা হড়কে নেমে আসতে পারে মৃত্যু।
শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসের শিকার বিপন্ন মানুষদের মাথার উপরের ছাদ নেই। আশ্রয়হীন মানুষরা দিশাহীন তাদের শিশুদের মৃতদেহ দেখে। শিশুরাই তাদের ভবিষ্যৎ, ফলে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ তাদের জীবনে হতাশা এনেছে। তাদের প্রশ্নই কবির মুখে ফুটে ওঠে-
তাই কবি যথার্থই বলেছেন বিপন্ন মানুষের অগ্রগতির পথ নেই, নেই বেঁচে থাকার উপায়।
কবি লক্ষ করেছেন এই সকল বিপন্ন মানুষের ইতিহাস নেই, যদিও ইতিহাস থাকে, তা প্রকৃত সত্যকে ঢেকে রাখার ইতিহাস। এই নিপীড়িত জনগোষ্ঠী ভিখারির মতো দোরে দোরে ঘোরে সাহায্যের প্রার্থনায়। সারা পৃথিবীর অবহেলা আর উদাসীনতায় এদের জীবন কাটে। এভাবে কয়েকজন টিকে রয়েছে। প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে।
আশাবাদী কবি এরূপ কঠিন পরিস্থিতিকে সামাল দিতে টিকে থাকা কয়েকজনকে সংঘবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে আহ্বান করেছেন। পারস্পরিক একতা সুদৃঢ় করে কবি এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলায় আহ্বান করেছেন-