অলৌকিক গল্পে হাত দিয়ে পাথরের চাঁই থামানোর ঘটনাটি লেখক প্রথমে বিশ্বাস করেননি কেন? পরে কীভাবে সেই ঘটনা তাঁর বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠল

অলৌকিক গল্পে হাত দিয়ে পাথরের চাঁই থামানোর ঘটনাটি লেখক প্রথমে বিশ্বাস করেননি কেন? পরে কীভাবে সেই ঘটনা তাঁর বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠল

অলৌকিক গল্পে হাত দিয়ে পাথরের চাঁই থামানোর ঘটনাটি লেখক প্রথমে বিশ্বাস করেননি কেন? পরে কীভাবে সেই ঘটনা তাঁর বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠল

অলৌকিক গল্পে হাত দিয়ে পাথরের চাঁই থামানোর ঘটনাটি লেখক প্রথমে বিশ্বাস করেননি কেন? পরে কীভাবে সেই ঘটনা তাঁর বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠল?

প্রথমে অবিশ্বাস করার কারণ

কর্তার সিং দুগ্‌গাল রচিত গল্পের বাংলা অনুবাদ ‘অলৌকিক’ গল্পে বর্ণিত গুরু নানকের হাতের ছোঁয়ায় পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া একটি পাথরকে থামিয়ে দেওয়া এবং সেই পাথরে তার হাতের ছাপ লেগে থাকার গল্পটি লেখক তাঁর যুক্তিবোধের কারণে বিশ্বাস করেননি। তার মনে হয় গল্পটি বানানো এবং পাথরের উপর হাতের ছাপটি খোদাই করা।

গল্পের বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠা

লেখক পরবর্তীকালে মায়ের বান্ধবীর মুখে একটি গল্প শোনার পর এই ঘটনা বিশ্বাস করেন। সেই গল্পে শোনা যায় ফিরিঙ্গিরা দূরবর্তী একটি শহরে নিরস্ত্র ভারতীয়দের উপর গুলি চালায়, বাকিদের বন্দি করে ট্রেনে করে অন্যত্র নিয়ে যায়। বন্দিরা তৃয়ার্ত, ক্ষুধার্ত হলেও বিদেশিদের নির্দেশে ট্রেন থামানো যায় না। পাঞ্জাসাহেবের অধিবাসীরা বন্দিদের খাদ্য ও পানীয় পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনেক আবেদন করেও ট্রেন থামাতে পারে না। তখন তারা রেললাইনে শুয়ে পড়ে এবং তাদের কিছু জনের বুকের উপর দিয়ে ট্রেন চলে গিয়ে তারপর থামে। পাঞ্জাসাহেবে মানুষদের প্রাণের বিনিময়ে ট্রেন থামানোর এই অবিশ্বাস্য গল্প শুনে লেখক বুঝতে পারেন ইচ্ছাশক্তির দ্বারা সব অসম্ভবকেই সম্ভব করা যায় এবং পূর্বের ঘটনা বিশ্বাস করেন।

Leave a Comment