“অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি ধুলোর কলঙ্ক,”-এখানে কোন্ মানুষদের কথা বলা হয়েছে? তাঁরা অবসন্ন কেন? ‘ধুলোর কলঙ্ক’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? |
উদ্দিষ্ট
সমর সেন রচিত ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় অবসন্ন মানুষ বলতে মহুয়ার দেশের কয়লাখনির শ্রমিকদের কথা বলা হয়েছে।
অবসন্নতার কারণ
মহুয়ার দেশে ধনতান্ত্রিক সভ্যতার আগ্রাসনে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। তাদের প্রকৃতিকেন্দ্রিক জীবন নষ্ট হয়ে গেছে, এখন তারা কয়লাখনির শ্রমিকে পরিণত হয়েছে। সারারাত না ঘুমিয়ে খনিতে কঠোর পরিশ্রম করায় তাদের চোখ ঘুমহীন এবং শরীর ক্লান্তিতে অবসন্ন হয়ে পড়েছে। ধুলোর কলঙ্কের অর্থ: আলোচ্য কবিতায় ‘ধুলোর কলঙ্ক’ বলতে কবি নাগরিক জীবনের দূষণ ও যান্ত্রিকতার ক্লেদকে বুঝিয়েছেন। সারারাত না ঘুমিয়ে কয়লাখনির শ্রমিকেরা খনিতে কাজ করার ফলে তাদের জামাকাপড় ময়লা ধূলিমলিন হয়ে গেছে। কয়লার কালিমায় কালিমালিপ্ত হয়েছে তাদের দেহ। মুছে গেছে তাদের সব সজীবতা। এই অবস্থাই ‘ধুলোর কলঙ্ক’ বলে কবিতায় উল্লিখিত হয়েছে।