অপ্রচলিত শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা
অপ্রচলিত শক্তির সুবিধা ও অসুবিধাগুলি উল্লেখ করো। |
অপ্রচলিত বা অচিরাচরিত শক্তির উৎস
শক্তি উৎপাদনের যেসব উৎসগুলি বহুকাল ধরে প্রচলিত নয় এবং বর্তমানে অল্প পরিমাণে ব্যবহৃত হয়, তবে ভবিষ্যতে বহুল পরিমাণে ব্যবহারের সম্ভাবনা আছে, তাদের অপ্রচলিত বা অচিরাচরিত শক্তির উৎস বলে।
উদাহরণ : সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, ভূতাপ শক্তি, জোয়ার-ভাটা শক্তি, জৈবগ্যাস শক্তি প্রভৃতি।
অপ্রচলিত শস্ত্রির সুবিধাসমূহ :
অফুরন্ত উৎস
পৃথিবীতে অপ্রচলিত শক্তি সম্পদগুলি (জল, বায়ু, মৃত্তিকা প্রভৃতি) অবাধ হওয়ায় এগুলি ফুরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
স্বল্প ব্যয়
অপ্রচলিত শক্তি সম্পদগুলি যেমন ক্রয় করতে হয় না তেমন এর উৎপাদন ব্যয়ও যথেষ্ট কম।
পরিবেশমিত্রতা
পৃথিবীর অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদন ও ব্যবহারে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় না, কারণ এগুলি পরিবেশবান্ধব।সর্বত্র প্রাপ্ত অপ্রচলিত শক্তিগুলির উৎস পৃথিবীর প্রায় সমস্ত স্থানেই পাওয়া যায়।
ঝুঁকিহীন
অপ্রচলিত শক্তি সম্পদ উৎপাদনে ঝুঁকির সম্ভাবনা অনেক কম।
ভবিষ্যতের বিকল্প শক্তি
পৃথিবীতে প্রচলিত শক্তি সম্পদের প্রায় সবটাই একসময় শেষ হয়ে যাবে, তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিকট এটি হল একমাত্র বিকল্প শক্তি।
অপ্রচলিত শস্ত্রির অসুবিধাসমূহ :
অত্যধিক প্রাথমিক ব্যয়
অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রাথমিক ব্যয় যথেষ্ট বেশি।
উন্নত প্রযুক্তির অভাব
অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদনের জন্য যে উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন সমস্ত দেশে তা পাওয়া যায় না।
স্থানান্তরযোগ্য নয়
অপ্রচলিত শক্তিগুলি পৃথিবীর সর্বত্র সমান মাত্রায় পাওয়া যায় না, কিন্তু একে স্থানান্তর করা যায় না।