হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
|
ভূমিকা
প্রতিষ্ঠা
প্রতিষ্ঠাতা
উদ্দেশ্য
বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে এই হিন্দুমেলা চালু করা হয়। উদ্দেশ্যগুলি হল-
[1] হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করা।
[2] আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলা।
[3] হস্তশিল্পে উৎসাহদান।
[4] সাহিত্যচর্চায় উৎসাহদান।
[5] বাঙালির হীনমন্যতা দূর করা।
[6] শরীরচর্চায় উৎসাহ দেওয়া প্রভৃতি।
কার্যাবলি
রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘জীবনস্মৃতি’তে লিখেছেন, ‘আমাদের বাড়ির সাহায্যে হিন্দুমেলা বলিয়া একটি মেলা সৃষ্টি হইয়াছিল। নবগোপাল মিত্র মহাশয় এই মেলার কর্মকর্তারূপে নিয়োজিত ছিলেন। ভারতবর্ষকে স্বদেশ বলিয়া ভক্তির সহিত উপলব্ধির চেষ্টা সেই প্রথম হয়। মেজদাদা সেই সময় বিখ্যাত জাতীয় সংগীত ‘মিলে সব ভারত সন্তান’ রচনা করিয়াছিলেন। এই মেলায় দেশের স্তবগান গীত, দেশানুরাগের কবিতা, দেশীয় শিল্প, ব্যায়াম প্রভৃতি প্রদর্শিত ও দেশী গুণী লোক পুরস্কৃত হইত’।
অবদান
[1] সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘মিলে সব ভারত সন্তান’ গানের মধ্য দিয়ে এই মেলা শুরু হত। এই গান জাতীয় সংগীতের মতো দেশাত্মবোধ জাগিয়ে তোলে।
[2] বাংলা ভাষায় শ্রেষ্ঠ রচনার জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা সাহিত্যক্ষেত্রে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করে।
[3] মেলায় হাতে তৈরি জিনিসপত্রের প্রদর্শনী হত। ফলে শিল্পী ও কারিগররা উৎসাহ পায়।
[4] মেলার আয়োজকরা ন্যাশনাল পেপারের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদের কথা প্রচার করেন।
[5] হিন্দুমেলায় জনসমাবেশ ও বক্তৃতা জাতীয় অনুভতির সৃষ্টি করে।