স্মৃতিকথা কিভাবে উদ্বাস্তু সমস্যার ইতিহাস রচনার উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যায় |
ভূমিকা
দেশভাগ বিষয়ক আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও অন্যান্য গ্রন্থ
শ্রী হিরন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘উদ্বাস্তু’। লেখক পশ্চিমবাংলার উদ্বাস্তু কমিশনার ছিলেন। এটি মূলত তাঁর স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ।
দক্ষিণারঞ্জন বসুর লেখা স্মৃতিকথা হল ‘ছেড়ে আসা গ্রাম’।
নীরদচন্দ্র চৌধুরী রচিত গ্রন্থ ‘অটোবায়োগ্রাফি অফ অ্যান আননোন ইন্ডিয়ান’ (Autobiography of an Unknown Indian) |
জ্যোতির্ময়ী দেবীর লেখা ‘এপার গঙ্গা ওপার গঙ্গা’।
চৌধুরী খালিকুজ্জামানের লেখা ‘পাথওয়ে টু পাকিস্তান’ (Pathway to Pakistan) |
ড. ভীমরাও রামজি আম্বেদকরের ‘পাকিস্তান অর দ্য পার্টিশান অফ ইন্ডিয়া’ (Pakistan or the Partition of India)।
খুশবন্ত সিং-এর লেখা ‘ট্রেন টু পাকিস্তান’ (Train to Pakistan) |
প্রফুল্ল কুমার চক্রবর্তীর লেখা ‘দ্য মার্জিনাল মেন’ (The Marginal Men) ইত্যাদি।
আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগের বর্ণনা
[1] অনেকে আশা করেছিল দেশ স্বাধীন হলে মানুষের আর দুঃখদুর্দশা বলে কিছু থাকবে না। চালের দাম কম হবে, সবাই খেয়েপরে আনন্দে বাঁচতে পারবে।
[2] দেশ স্বাধীন হল। মানুষ আনন্দে মেতে উঠল।
[3] কিন্তু অসংখ্য মানুষের মনে স্বাধীনতার আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। তারা ‘নিজ ভূমে পরবাসী’ হয়ে গেল- উদ্বাস্তু হয়ে নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে অজানা-অচেনা জায়গায় চলে যেতে বাধ্য হল। অদ্ভুত বেদনা ও মানসিক যন্ত্রণার শিকার হল তারা।