রবিমার্গ অর্থাৎ সূর্যের বার্ষিক আপাত গতি পৃথিবীতে কীভাবে তাপের তারতম্যের ওপর প্রভাব ফেলে

রবিমার্গ অর্থাৎ সূর্যের বার্ষিক আপাত গতি পৃথিবীতে কীভাবে তাপের তারতম্যের ওপর প্রভাব ফেলে
রবিমার্গ অর্থাৎ সূর্যের বার্ষিক আপাত গতি পৃথিবীতে কীভাবে তাপের তারতম্যের ওপর প্রভাব ফেলে

তাপের তারতম্যের ওপর রবিমার্গের প্রভাব: 

  • রবিমার্গ বা সূর্যের আপাত বার্ষিক গতি পৃথিবীর তাপের তারতম্যের ওপর প্রভাব ফেলে। সূর্যের উত্তরায়ণের সময় সূর্য পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের দিকে বেশি ঝুঁকে অবস্থান করে বলে সূর্য ওই অংশে লম্বভাবে কিরণ দেয়। যার ফলে উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকালের সূচনা ঘটে। অন্যদিকে দক্ষিণ গোলার্ধে এর বিপরীত অবস্থা অর্থাৎ, শীতকালের সূচনা হয়। সূর্যের উত্তরায়ণ 21 জুন তারিখে কর্কটক্রান্তি রেখায় শেষ হয়। ওইদিন সূর্য কর্কটক্রান্তিরেখার ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে বড়ো দিন ও সবচেয়ে ছোটো রাত সূচিত হয় এবং উত্তর গোলার্ধের মেরু অঞ্চলে 24 ঘণ্টা দিন বিরাজ করে। দক্ষিণ গোলার্ধে এর বিপরীত অবস্থা সূচিত হয়।
  • এরপর সূর্য ক্রমশ দক্ষিণ দিকে সরতে থাকে এবং 23 সেপ্টেম্বর তারিখে নিরক্ষরেখায় লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে, পৃথিবীর সর্বত্র দিন ও রাত্রি সমান (12 ঘণ্টা) হয় এবং সারা পৃথিবী জুড়ে প্রায় সমভাবাপন্ন উন্নতা দেখা যায়। এই সময় উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বসন্তকাল বিরাজ করে। 
  • এরপর সূর্যের দক্ষিণায়ন শুরু হয় এবং দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল ও উত্তর গোলার্ধে শীতকালের সূচনা হয়। 22 ডিসেম্বর সূর্য মকরক্রান্তিরেখার ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ওইদিন দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে বড়ো দিন (14 ঘণ্টা) ও সবচেয়ে ছোটো রাত (10) ঘণ্টা) এবং ওইদিন দক্ষিণ গোলার্ধের মেরু অঞ্চলে 24 ঘণ্টা দিন সূচিত হয়। উত্তর গোলার্ধে এর বিপরীত অবস্থা সৃষ্টি হয়। 
  • এরপর সূর্য ক্রমশ উত্তর দিকে সরতে থাকে এবং 21 মার্চ তারিখে পুনরায় নিরক্ষরেখায় লম্বভাবে কিরণ দেয় ও সারা পৃথিবীতে দিন-রাত্রি সমান হয়। ওই সময় দক্ষিণ গোলার্ধে শরৎকাল এবং উত্তর গোলার্ধে বসন্তকাল বিরাজ করে বলে বায়ুর উষ্ণতা সমভাবাপন্ন থাকে।

Leave a Comment