মানবজীবনে মালভূমির প্রভাব বা গুরুত্ব আলোচনা করো

মানবজীবনে মালভূমির প্রভাব বা গুরুত্ব আলোচনা করো
মানবজীবনে মালভূমির প্রভাব বা গুরুত্ব আলোচনা করো
মানবজীবনে মালভূমির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব দেখা যায়, যেমন—

(ক) খনিজ সম্পদের ভাণ্ডারস্বরূপ: 

মালভূমি অঞ্চলগুলি প্রচুর পরিমাণ খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ থাকে। এখানে সাধারণত কয়লা, আকরিক লোহা, ম্যাঙ্গানিজ, নিকেল, তামা, অভ্র, চুনাপাথর প্রভৃতি মূল্যবান খনিজ সম্পদ থাকে, যার অর্থনৈতিক গুরুত্ব যথেষ্ট বেশি।
যেমন – খনিজ সম্পদের প্রাচুর্যের কারণে ভারতের ছোটোনাগপুর মালভূমি অঞ্চলকে ‘ভারতের খনিজ ভাণ্ডার’ বলা হয়।

(খ) শিল্প স্থাপন: 

শিল্প গড়ে ওঠার প্রয়োজনীয় কাঁচামাল (খনিজ বা কৃষিজাত) সহজে পাওয়া যায় বলে এখানে বৃহদায়তন লৌহ ইস্পাত শিল্প, ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, কার্পাস বয়ন শিল্প গড়ে উঠেছে।

(গ) কৃষিকাজ : 

মালভূমি অঞ্চলের বন্ধুর ভূপ্রকৃতি ও স্বল্প বৃষ্টিপাত কৃষিকাজের অনুপযোগী হলেও এখানকার নদী উপত্যকার উর্বর মাটিতে তুলো, ধান, পেঁয়াজ, আখ চাষ করা হয়। আবার, মালভূমির খাড়া ঢালে চা, কফি, রবার চাষ করা যায়। যেমন – ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমির কৃষ্ণমৃত্তিকায় প্রচুর তুলো চাষ হয়।

(ঘ) জলবিদ্যুতের প্রাচুর্য : 

বন্ধুর ভূপ্রকৃতির জন্য মালভূমি অঞ্চলের নদীগুলি খরস্রোতা হয় বলে সহজেই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। যেমন – দক্ষিণ ভারতের প্রায় সব নদী থেকেই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। 

(ঙ) বনজ সম্পদ: 

মালভূমি অঞ্চলে উৎপন্ন স্বাভাবিক উদ্ভিদ থেকে প্রচুর মূল্যবান বনজ সম্পদ পাওয়া যায়।

(চ) পর্যটন শিল্পাকন্দ্র: 

মালভূমি অঞ্চলের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ এখানে পর্যটন শিল্পকেন্দ্র গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।

Leave a Comment