মহম্মদ শা-র চরিত্র আলোচনা করো

মহম্মদ শা-র চরিত্র আলোচনা করো
মহম্মদ শা-র চরিত্র আলোচনা করো।

মহম্মদের উদার মানসিকতা

লিও তলস্তয় রচিত ‘ইলিয়াস’ গল্পটি ইলিয়াসের সামগ্রিক জীবনের উত্থান ও পতনের কাহিনি। সমস্ত গল্পে ভাগ্যের প্রভাব আমাদের চোখ ধরা পড়েছে। ইলিয়াসের দুর্দশাগ্রস্ত জীবনে আশার আলো এনেছিল যে মানুষটি সেই-ই হল মহম্মদ শা। সমগ্র গল্পে তার উপস্থিতি প্রত্যক্ষভাবেই ইলিয়াসের জীবনকে প্রভাবিত করেছে। একসময়ের দরিদ্র ইলিয়াস তার জীবনে প্রভূত পরিশ্রমে অনেক বিষয়সম্পত্তি করেছিল। কিন্তু পারিবারিক অশান্তিতে সেই সম্পত্তি হারিয়ে সে সর্বহারা হয়ে পড়েছে। কোনো আত্মীয়-পরিজন না থাকায় গভীর বিপদে ইলিয়াস একাকী যখন হিমসিম খাচ্ছে সেই সময় মহম্মদ শা-ই তাকে পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করেছে। এ প্রসঙ্গে লেখকের স্বীকারোক্তি- “মহম্মদ শা নামে এক প্রতিবেশীর করুণা হলো বুড়ো-বুড়ির জন্য। সে নিজে ধনীও নয়, গরিবও নয়, তবে থাকত সুখে, আর লোেকও ভালো।”

অতিথি আপ্যায়ন

এর মধ্য থেকেই ইলিয়াসের সদর্থক ও ভালো মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। আবার মহম্মদ শা-র বাড়িতে যখন অতিথিরা এসেছিল তখন তাদের সঙ্গেও নমনীয় ব্যবহার করেছে- “মহম্মদ শা ইলিয়াসকে একটা ভেড়া এনে মারতে বলল।”

মহম্মদের সামগ্রিক চরিত্র

এইরূপ অতিথিবৎসলতার কারণে সকলেই মহম্মদ শা-কে পছন্দ করত। ইলিয়াস তার চাকর হলেও কখনও সে কিন্তু সক্রিয় মনিবের মতো আচরণ করেনি, বরং ইলিয়াসের প্রশংসাই করেছে। সব মিলিয়ে একজন সৎ, সজ্জন ও অতিথিবৎসলতার গুণে মহম্মদের সামগ্রিক চরিত্রটি চিত্রিত হয়েছে।

Leave a Comment