ভূমিকম্পের পূর্বাভাস কীভাবে বোঝা যায় |
ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া খুব কঠিন ব্যাপার। এখনো পর্যন্ত কোনো যন্ত্রপাতি বা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়নি, যার দ্বারা ভূমিকম্পের সঠিক পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। তবে পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিভিন্ন দিক থেকে বিচার করে ভূমিকম্পের কিছুটা পূর্বাভাস দেওয়া যেতে পারে। যেমন–
• পাতের গতিপ্রকৃতি:
সঞ্চরণশীল পাতগুলির গতি ও দিকের হঠাৎ কোনো পরিবর্তন লক্ষ করা গেলে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া যায়।
• শিলার বক্রতা :
টিল্টমিটার যন্ত্রের সাহায্যে শিলার উত্থান ও বক্রতা দ্বারা ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া যায়ৎ
• প্রাণীদের অস্বাভাবিক আচরণ :
ক্যাটফিশ ও মাগুর মাছ চঞ্চল হয়ে ওঠে, ইঁদুর গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে, গোরু, শূকর ও হনুমানের কান খাড়া হয়ে যায়, ঘোড়া ভীত ও উত্তেজিত হয়ে ওঠে, হাতির মধ্যে চঞ্চলতা লক্ষ করা যায়, পায়রা ঊর্ধ্বে উঠে যায়। উদাহরণ – 1891 খ্রিস্টাব্দে জাপানের নবি শহরের হাতিদের চঞ্চলতা লক্ষ করে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয়েছিল।
• প্রাকৃতিক পরিবর্তন :
আকাশে অসময়ে রামধনু ওঠে, কুয়োর জলে রেডন গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, উষ্ণপ্রস্রবণে হিলিয়াম গ্যাসের প্রাধান্য বাড়ে।
• উপগ্রহ পর্যবেক্ষণ :
উপগ্রহ মারফত ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলি থেকে তড়িৎচুম্বকীয় নির্গমন পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
ভৌমজলসীমার পরিবর্তন:
ভৌমজলের সীমার পরিবর্তন লক্ষ করে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে।