‘ভীম কারা’ ও ‘বন্দি-শালা’ কীভাবে ধ্বংস করার জন্য কবি আহ্বান জনিয়েছেন

'ভীম কারা' ও 'বন্দি-শালা' কীভাবে ধ্বংস করার জন্য কবি আহ্বান জনিয়েছেন
‘ভীম কারা’ ও ‘বন্দি-শালা’ কীভাবে ধ্বংস করার জন্য কবি আহ্বান জনিয়েছেন?

প্রেক্ষাপট 

‘বর্তমানের কবি আমি ভাই, ভবিষ্যতের নই নবী’ – এই বলিষ্ঠ আত্মঘোষণার মাধ্যমে বাংলা কবিতার জগতে নজরুলের আবির্ভাব। সমকালীন যুগপ্রভাব তাঁর কবিতাকে যে ভিন্ন পথে চালিত করেছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি দেখেছেন ভারত তখনও ব্রিটিশশাসনের নাগপাশে বন্দি। দেশ সম্পর্কে তাদের ধারণা তখনও পুষ্ট নয়। কারাগারে তখনও শত শত বন্দিরা চোখের জল ফেলছে। নজরুল এমন পরিস্থিতিতে বিপ্লবীদের প্রেরণা দিতে লিখলেন ‘ভাঙার গান’।

কবির আহ্বান

বিদ্রোহী কবি উপলব্ধি করেছিলেন কারাগারের কঠিন কঠোর কপাট যদি ভেদ করা যায়, তাহলে বিপ্লবীসহ ভারতমাতার মুক্তি ঘটবে। তিনি ইংরেজদের ‘ভীম কারা’ ও ‘বন্দি-শালা’-কে ধ্বংস করার জন্য যেমন ‘তরুণ ঈশান’-কে আহ্বান জানিয়েছেন, তেমনই আহ্বান জানিয়েছেন ‘পাগলা ভোলা’-কে। কবি বলেছেন–

“ওরে ও তরুণ ঈশান!

বাজা তোর প্রলয়-বিষাণ
ধ্বংস-নিশান,
উড়ুক প্রাচী’র প্রাচীর ভেদি।”

কবির প্রত্যাশা

‘পাগলা ভোলা’র কাছে কবি প্রত্যাশা করেন, পাগলা ভোলা প্রলয় দোলা দিয়ে গারদগুলোকে হ্যাঁচকা টানে বিনষ্ট করবে। বিপ্লবীদের উদ্দেশে কবি বলেছেন বৃথা সময় কাটিয়ে কাজ নেই বরং প্রবল শক্তিধর হয়ে তারা ভীম কারাগারের ভিত্তিকে আলগা করুক, লাথি মেরে তালা ভেঙে বন্দিশালায় আগুন জ্বালিয়ে দিক–

“যত সব বন্দি-শালায়– 
আগুন জ্বালা, 
আগুন জ্বালা, ফেল উপাড়ি!”

Leave a Comment