বাংলায় আধুনিক ছাপাখানার অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করো

বাংলায় আধুনিক ছাপাখানার অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করো
বাংলায় আধুনিক ছাপাখানার অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করো।
১৪৫৪ খ্রিস্টাব্দে জার্মানির জোহানেস গুটেনবার্গের আধুনিক মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কার আধুনিক মুদ্রণশিল্পের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এর প্রায় ১০০ বছর পরে পোর্তুগিজরা ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতের গোয়ায় মুদ্রণযন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। এরও প্রায় ২০০ বছর পরে ১৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় মুদ্রণযন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

বাংলায় মুদ্রণযন্ত্রের প্রতিষ্ঠা

১৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় প্রথম মুদ্রণযন্ত্র বা ছাপাখানার প্রতিষ্ঠা করেন জেমস অগাস্টাস হিকি। প্রথমদিকে এই ছাপাখানা থেকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাপানো হত। পরে এই ছাপাখানা থেকে ‘বেঙ্গল গেজেট’ প্রকাশিত হয়।

বাংলায় চলনশীল হরফ

বাংলায় চলনশীল হরফ বা মুভেবল টাইপ আবিষ্কার করেন চার্লস উইলকিনস। তিনি চুঁচুড়াতে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। পঞ্চানন কর্মকার কর্তৃক বাংলা হরফ তৈরির ঘটনা বাংলা ছাপাখানার জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

‘লাইনো টাইপ’ বাংলা হরফ

বাংলায় ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার পর বাংলা অক্ষরের ক্রমোন্নতি ঘটে। পঞ্চানন কর্মকারের বাংলা হরফের পর সুরেশচন্দ্র মজুমদার ‘লাইনো টাইপ’ নামে আরও উন্নত বাংলা হরফ তৈরি করেন।

ছাপাখানার বিস্তার

বাংলার শ্রীরামপুর, কলকাতায় কয়েকটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে পূর্ববঙ্গের রংপুরেও ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। অর্থাৎ বলা যায়, উনিশ শতকে বাংলায় ছাপাখানার যথেষ্ট প্রসার ঘটে।

Leave a Comment