প্রতিপাদ স্থান (Antipodes) বলতে কী বোঝো? প্রতিপাদ স্থানের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

প্রতিপাদ স্থান (Antipodes) বলতে কী বোঝো? প্রতিপাদ স্থানের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
প্রতিপাদ স্থান (Antipodes) বলতে কী বোঝো? প্রতিপাদ স্থানের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

সংজ্ঞা: 

ভূ-পৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত কোনো বিন্দু বা স্থান থেকে কল্পিত রেখা পৃথিবীর কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে প্রসারিত করলে তা বিপরীত প্রান্তে যে বিন্দু বা স্থানে স্পর্শ করে, তাকে প্রথম বিন্দু বা প্রথম স্থানের প্রতিপাদ স্থান বলা হয়।

বৈশিষ্ট্য:

• গোলার্ধ : কোনো স্থানের প্রতিপাদ স্থান সর্বদাই সেই সস্থানের বিপরীত গোলার্ধে অবস্থান করে।
• অক্ষাংশ: কোনো স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের অক্ষাংশের মান একই হয় কিন্তু, গোলার্ধের পরিবর্তন ঘটে। যেমন – কলকাতার অক্ষাংশ 22°34′ উত্তর এবং কলকাতার প্রতিপাদ স্থানের অক্ষাংশ হবে 22°34′ দক্ষিণ।
• দ্রাঘিমা: কোনো স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমার পার্থক্য 180°। তাই, প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় করতে হলে প্রদত্ত স্থানের দ্রাঘিমাকে 180° থেকে বিয়োগ করতে হয়। যেমন – কলকাতার দ্রাঘিমা 88°30′ পূর্ব, অর্থাৎ, কলকাতার প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা (180°-88°30′) = 91°30′ পশ্চিম।
• সময়: কোনো স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমার পার্থক্য 180° হওয়ায় সময়ের পার্থক্য হয় (180° x 4 মিনিট) = 720 মিনিট বা 12 ঘণ্টা।
• অন্যান্য অবস্থা: কোনো স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে দিন, রাত্রি ও ঋতুর বিপরীত অবস্থা দেখা যায় (ব্যতিক্রম নিরক্ষীয় অঞ্চল ও মেরু অঞ্চল)।

Leave a Comment