পশ্চিমবঙ্গে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনায় গৃহীত কৌশলগুলি লেখো |
বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যথাসম্ভব কমানোর উদ্দেশ্যে আমাদের রাজ্যে যে-সকল কৌশল গৃহীত হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –
• মানচিত্র তৈরি:
বিভিন্ন সমীক্ষার মাধ্যমে রাজ্যের বিপর্যয় প্রবণ অঞ্চলগুলি চিহ্নিত করা ও তার ভিত্তিতে মানচিত্র তৈরি করা উচিত।
• সচেতনতা বৃদ্ধি :
পোস্টার, দেয়াল লিখন, সংবাদপত্র, টেলিভিশন প্রভৃতির মাধ্যমে রাজ্যের মানুষকে বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সচেতন করা উচিত।
• প্রশিক্ষণ দান:
বিপর্যয়ের পূর্বে, বিপর্যয় চলাকালীন এবং পরবর্তী সময়ে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন সে সম্পর্কে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের এবং সমাজের নানাস্তরের মানুষকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা উচিত।
• পূর্বাভাস:
ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা প্রভৃতি দুর্যোগের সঠিক পূর্বাভাস দেওয়া এবং বেতার ও টেলিভিশনের মাধ্যমে দুর্গম এলাকায় সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
• সম্পদের তালিকা তৈরি:
বিপর্যয়প্রবণ এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত মানব সম্পদ (ডাক্তার, নার্স, স্বেচ্ছাসেবী) ও অর্থনৈতিক সম্পদ (নৌকা, গাড়ি, ভ্যান, ত্রাণশিবির রূপে বিদ্যালয়, কলেজ) আছে কি না তার তালিকা তৈরি করা উচিত।
• সাংগঠনিক সমন্বয়:
বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য রাজ্যে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনগুলির মধ্যে সমন্বয় ঘটানো এবং বেসরকারি সংগঠনগুলিকে নানান সরকারি সাহায্য প্রদান করা উচিত।
• ত্রাণ কৌশল:
বিপর্যয়ের পর সঠিক সময়ে ‘ত্রাণ’ পৌঁছানোর সুবন্দোবস্ত করা এবং মানুষের পুনর্বাসন সংক্রান্ত কার্যাবলি গ্রহণ করা বিপর্যয় মোকাবিলার অন্যতম কৌশল।
• আইন প্রণয়ন :
বিজ্ঞানসম্মতভাবে বাড়িঘর নির্মাণ করা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ও আপৎকালীন নির্গমন ব্যবস্থা রাখা ইত্যাদি সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করা হয়েছে আমাদের রাজ্যে।
সর্বোপরি, এই সকল কৌশলগুলিকে কার্যকরী করার জন্য ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা নীতি’ (West Bengal State Disaster Management Policy WBSDMP) রূপায়িত আছে, যেখানে নিম্নলিখিত পর্যায়ক্রমিক পরিকাঠামোর মধ্যে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার কাজ চলে।