পঞ্চানন কর্মকার বিখ্যাত কেন? |
ভূমিকা
বাংলা গ্রন্থ মুদ্রণে যে স্বদেশি শিল্পীর অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য তিনি হলেন পঞ্চানন কর্মকার। যদিও চার্লস উইলকিনসই ছিলেন বাংলা মুদ্রণের স্রষ্টা, তথাপি তাঁর প্রথম সৃষ্টির কাজে সহায়ক ছিলেন বাংলার শিল্পী পঞ্চানন কর্মকার।
পঞ্চানন কর্মকারের ভূমিকা
প্রথম বাংলা হরফ তৈরির কারিগরি বিদ্যা উইলকিনসের দান। কিন্তু তাকে ব্যাপকভাবে কর্মে রূপায়িত করেছিলেন পঞ্চানন কর্মকার। ১৭৭৮-১৮০৪ খ্রিস্টাব্দ অবধি প্রায় নানাবিধ পরীক্ষানিরীক্ষার মধ্য দিয়ে বাংলা হরফের মানকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
বাংলা ও অন্যান্য প্রাদেশিক ভাষার হরফ সৃষ্টি: প্রয়োজনের তাগিদে আকারে ক্রমশ ক্ষুদ্রতর করে একাধিক সাট বাংলা হরফই যে পঞ্চানন কর্মকার তৈরি করেছিলেন তা নয়, শ্রীরামপুর মিশনের ছাপাখানার জন্য দেবনাগরী-সহ হরফও তিনি তৈরি করেছিলেন। ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের কর্নওয়ালিস কোডের বাংলার অনুবাদ ছাপার জন্য যে নতুন এক সাট বাংলা হরফ ব্যবহৃত হয় তা সম্ভবত পঞ্চানন কর্মকারেরই সৃষ্টি।
বাংলা ও অন্যান্য প্রাদেশিক ভাষার হরফ সৃষ্টি: প্রয়োজনের তাগিদে আকারে ক্রমশ ক্ষুদ্রতর করে একাধিক সাট বাংলা হরফই যে পঞ্চানন কর্মকার তৈরি করেছিলেন তা নয়, শ্রীরামপুর মিশনের ছাপাখানার জন্য দেবনাগরী-সহ হরফও তিনি তৈরি করেছিলেন। ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের কর্নওয়ালিস কোডের বাংলার অনুবাদ ছাপার জন্য যে নতুন এক সাট বাংলা হরফ ব্যবহৃত হয় তা সম্ভবত পঞ্চানন কর্মকারেরই সৃষ্টি।
অন্যান্য ভূমিকা: ১৮০০ খ্রিস্টাব্দের শুরুতে শ্রীরামপুর মিশন প্রেসে উইলিয়ম কেরি পঞ্চানন কর্মকারকে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানান। সেখানে পঞ্চানন কর্মকার দু-তিন সাট নতুন বাংলা, দেবনাগরী, অক্ষর ঢালাই প্রভৃতি সব রকমের কাজ করে বহু বাঙালি শিল্পীকে মুদ্রাক্ষর শিল্পে প্রশিক্ষণ দান করে সামগ্রিকভাবে বাংলা মুদ্রণের বনিয়াদকে সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করেন।
উপসংহার
পঞ্চানন কর্মকারের সাধনা, অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের ফলেই বাংলা মুদ্রণের প্রসার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়। তিনিই বাংলার মুদ্রণশিল্পকে সাধারণের কাছে পরিচিত ও জনপ্রিয় এবং বাংলার নিজস্ব শিল্পধারার অঙ্গীভূত করে তোলেন। তাই পঞ্চানন কর্মকারকে বাংলা মুদ্রণের প্রথম সার্থক শিল্পী ও প্রবক্তা বলে অভিহিত করা হয়।
FAQs On – পঞ্চানন কর্মকার বিখ্যাত কেন?
পঞ্চানন কর্মকার বিখ্যাত কেন?
প্রথম বাংলা হরফ তৈরির প্রকৃত কারিগর চার্লস উইলকিন্স হলেও তাঁর কাজকে বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করেছিলেন যিনি তিনি হলেন আমাদের স্বদেশী শিল্পী পঞ্চানন কর্মকার । নানাবিধ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বাংলা হরফের মানকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতেতিনি অগ্রণী ভূমিকা নেন।
পঞ্চানন কর্মকার মারা যান কবে?
ঞ্চানন কর্মকার মারা যান ১৮০৪ খ্রি:।
পঞ্চানন কর্মকার কে ছিলেন?
পঞ্চানন কর্মকার ছিল বাংলা মুদ্রণ জগতের এক অসামান্য ব্যক্তিত্ব। পঞ্চানন কর্মকারের হাত ধরেই বাংলা হরফের সৃষ্টি। প্রথম বাংলা হরফ সৃষ্টির কৃতিত্ব পঞ্চানন কর্মকারেরই ।
পঞ্চানন কর্মকার কোথায় জন্মগ্রহন করেন?
পঞ্চানন কর্মকার জন্মগ্রহন করেন হুগলি জেলার ত্রিবেনীতে ।
পঞ্চানন কর্মকারকে বাংলা মুদ্রাক্ষরের জনক বলা হয় কেন?
শ্রীরামপুরে যখন ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয় তখন বাংলা মুদ্রাক্ষর ছিল না ।তিনি বহু কষ্ট ও ধৈর্য্য সহকারে প্রতিটি বাংলা অক্ষরের একাধিক প্রস্থ নির্মাণ করেন এবং এতেই ছাপা হয় প্রথম বাংলা অক্ষর । তাই তাকে বাংলা মুদ্রণ শিল্পের জনক বলা হয়.
বাংলা মুদ্রাক্ষরের জনক কাকে বলা হয়?
বাংলা মুদ্রাক্ষরের জনক বলা হয় পঞ্চানন কর্মকারকে ।