নিরপেক্ষ সামগ্রী থেকে সম্পদ কীভাবে সৃষ্টি হয়

নিরপেক্ষ সামগ্রী থেকে সম্পদ কীভাবে সৃষ্টি হয়
নিরপেক্ষ সামগ্রী থেকে সম্পদ কীভাবে সৃষ্টি হয়

নিরপেক্ষ সামগ্রী 

যে সকল বস্তু বা পদার্থের মানুষের অভাব মোচনের ক্ষেত্রে কোনোরূপ অনুকূল বা প্রতিকূল প্রভাব থাকে না, তাদের নিরপেক্ষ সামগ্রী বলে।

নিরপেক্ষ সামগ্রী থোক সম্পদ সৃষ্টি :

• জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত কৌশল: 

যেহেতু মানুষের মস্তিষ্ক অন্যান্য প্রাণীর থেকে উন্নত, তাই মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত কৌশলকে কাজে লাগিয়ে নিরপেক্ষ সামগ্রীগুলিকে সম্পদে পরিণত করে।
উদাহরণ: মালাবার উপকূলের বালুকারাশি থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ থোরিয়াম সংগ্রহ করা।

• প্রাকৃতিক বাধা অতিক্রম: 

প্রাচীনকাল থেকে মানুষ বিভিন্ন ভাবে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসারের ফলে মানুষ আজ প্রাকৃতিক বাধা বিপত্তিকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন নিরপেক্ষ সামগ্রীকে সম্পদের রূপ দান করেছে।
উদাহরণ: বর্তমানে সাহারা মরুভূমি ও উত্তর সাগর থেকে খনিজ তেল উত্তোলন করা হয়েছে।

• চাহিদা: 

পুরাতন প্রস্তর যুগে মানুষ কয়লার ব্যবহার জানত না। কিন্তু পরবর্তীকালে তাপ ও শক্তির চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে কয়লার ব্যবহার শিখল। সুতরাং, প্রাচীনকালে যে সকল দ্রব্যসামগ্রী ছিল নিরপেক্ষ সামগ্রী, আজ তা সম্পদ হয়েছে এবং আজ যা নিরপেক্ষ সামগ্রী ভবিষ্যতে তা সম্পদে পরিণত হতে পারে।

Leave a Comment