দুর্যোগের শ্রেণিবিভাগ করো |
উৎপত্তির পার্থক্য অনুসারে দুর্যোগকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা—
• প্রাকৃতিক দুর্যোগ (Natural Hazard) :
সংজ্ঞা: বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে কোনো নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে সৃষ্ট আকস্মিক ঘটনার প্রভাবে যখন পরিবেশ তথা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়, সাময়িক ক্ষতি দেখা যায়, তখন তাকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ (Natural Hazard) বলে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের কোনো ভূমিকা থাকে না।
উদাহরণ: ভূমিকম্প, ভূমিধস, অগ্ন্যুৎপাত, ঘূর্ণিঝড়, খরা, বন্যা ইত্যাদি।
• মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ (Man-made Hazard):
সংজ্ঞা: যে ধরনের দুর্যোগ সৃষ্টিতে প্রকৃতির ভূমিকা নেই, মানুষের অবিবেচক কার্যাবলি, অজ্ঞতা, কুসংস্কারের কারণে সংগঠিত হয়, তাকে মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ (Man-made Hazard) বলে।
উদাহরণ : তেজস্ক্রিয় দুর্যোগ (পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ), রাসায়নিক দুর্যোগ (বিষাক্ত গ্যাসের নির্গমন) ইত্যাদি।
• আধা-প্রাকৃতিক দুর্যোগ (Quasi-natural Hazard) :
সংজ্ঞা: কিছু কিছু প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের অবিবেচক কার্যাবলির দ্বারা দ্রুত ত্বরান্বিত হয় এবং তার ভয়াবহতাও বৃদ্ধি করে। এই ধরনের দুর্যোগকে আধা-প্রাকৃতিক দুর্যোগ (Quasi-natural Hazard) বলে।
উদাহরণ: নদী বাঁকের পাড় ভাঙন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এটা আরও দ্রুত সংঘটিত হয় মানুষের অনিয়ন্ত্রিত কৃষিকাজ, গৃহনির্মাণ, পশুচারণ, বৃক্ষচ্ছেদনের ফলে।