টীকা লেখ সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা নীতি

টীকা লেখ সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা নীতি
টীকা লেখ সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা নীতি

ভূমিকা

ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থার অন্যতম হাতিয়ার ও বৈশিষ্ট্য ছিল বিভেদ ও শাসননীতি। আর সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি ছিল তারই ফলশ্রুতি।

সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি

ভারতে বসবাসকারী হিন্দুদের সঙ্গে মুসলিম, শিখ, অনুন্নত হিন্দু, ভারতীয় খ্রিস্টান, হরিজন প্রভৃতি সম্প্রদায়ের বিভেদ সৃষ্টির দ্বারা ঐক্যে ফাটল ধরানো এবং ব্রিটিশ- বিরোধী জাতীয় আন্দোলনের স্বতঃস্ফূর্ততাকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র‍্যামসে ম্যাকডোনাল্ড সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আইনসভায় পৃথক নির্বাচনের যে অধিকার প্রদানের কথা ঘোষণা করেন, সেটি ইতিহাসে সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি নামে পরিচিত।

নীতিসমূহ

১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে র‍্যামসে ম্যাকডোনাল্ড কর্তৃক ঘোষিত সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি-র মূল বক্তব্যগুলি হল–

[1] স্বার্থ অটুট রাখা :
পৃথক নির্বাচন নীতি অনুসরণ করে এই বাঁটোয়ারায় মুসলমান, শিখ, ভারতীয় খ্রিস্টান, অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান ও নারীদের জন্য আসন সংরক্ষিত হয়।

[2] প্রাদেশিক পরিষদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য: এই নীতিতে বলা হয়, এই বাঁটোয়ারা কেবলমাত্র প্রাদেশিক পরিষদের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

[3] পৃথক নির্বাচনি ব্যবস্থা ও সর্বজনীন ভোটাধিকার :
শ্রমিক, বণিক, শিল্পপতি, জমিদার, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দিষ্ট আসন ও পৃথক নির্বাচনি এলাকা দান করা হয়, অন্যদিকে সাধারণ নির্বাচনি এলাকায় সকলের ভোটাধিকার নির্দিষ্ট হয়।

[4] দলিত হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটাধিকার:
হরিজন বা তফশিলি হিন্দুরা সংখ্যালঘু’ বলে ঘোষিত হয় এবং তাদের জন্য আসন সংরক্ষিত হয়। পৃথক নির্বাচন ও সাধারণ নির্বাচনি এলাকার জন্য তাদের ২টি ভোটাধিকার দেওয়া হয়।

Leave a Comment