টীকা লেখো: ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের সময় হিন্দু-মুসলিম ঐক্য। |
ভূমিকা
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল- হিন্দু-মুসলিম ঐক্য। এই বিদ্রোহে সব স্তরের হিন্দু-মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে শামিল হয়েছিল।
হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের প্রকৃতি
[1] ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহে বিদ্রোহী হিন্দু ও মুসলিমরা সব ভেদাভেদ ভুলে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে নেতা বলে স্বীকার করেছিল। বাহাদুর শাহ ঐক্য ও আন্দোলনের প্রতীক স্বরূপ ছিলেন।
[2] বিদ্রোহীরা পরস্পরের ধর্মের প্রতি সহনশীলতার নজির স্থাপন করেছিল। এই সময় ইংরেজ কর্তৃত্ব মুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে সেই অঞ্চলে গো-হত্যাও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
[3] নেতৃত্বের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অঞ্চলে হিন্দু ও মুসলিম নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। যেমন- ঝাঁসিতে লক্ষ্মীবাঈ, বিহারে কুনওয়ার সিং, কানপুরে নানাসাহেব, তাঁতিয়া তোপি প্রমুখ নেতা-নেত্রী নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তেমনি অযোধ্যায় বেগম হজরত মহল, দিল্লিতে বরকৎ খান প্রমুখ ছিলেন নেতৃত্বের অগ্রভাগে।
উপসংহার
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহে হিন্দু-মুসলিম ঐক্য ইংরেজদের ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ইংরেজ কর্মচারী এ্যাচিসন বলেছেন যে, এই একটা ক্ষেত্র যেখানে আমরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের লেলিয়ে দিতে পারিনি।