চিত্রসহ স্তূপ পর্বতের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করো |
স্তূপ পর্বত:
মহীভাবক আলোড়নের প্রভাবে দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী বা পার্শ্ববর্তী অংশ উত্থিত হয়ে সৃষ্ট পর্বতকে স্তুপ পর্বত বলে।
স্তূপ পর্বতের উৎপত্তি / সৃষ্টির কারণ :
প্রবল মহীভাবক আলোড়নের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠের শিলাস্তরে সংকোচন ও প্রসারণ বলের সৃষ্টি হয়। ক্রমাগত, সংকোচন ও প্রসারণের ফলে শিলাস্তরে যে ফাটল ধরে, তাকে চ্যুতি বলে। সমান্তরাল দুটি চ্যুতির একদিকের অংশ অপরদিকের অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এরূপ দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী ও পার্শ্ববর্তী অংশ মহীভাবক আলোড়নের ফলে চারভাবে উত্থিত বা অবনমিত হয়ে স্তূপ পর্বত সৃষ্টি করে। যথা —
• দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ ঊর্ধ্বমুখী আলোড়নের ফলে ওপরে উঠে স্তূপ পর্বত সৃষ্টি হয়।
উদাহরণ: ভারতের সাতপুরা।
• দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ নিম্নমুখী আলোড়নের ফলে খাড়াভাবে বসে গেলে পাশের ভূমি দুটি স্তূপ পর্বত রূপে অবস্থান করে।
উদাহরণ: ফ্রান্সের ভোজ এবং জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট এরূপ দুটি স্তূপ পর্বত যার মাঝের অবনমিত অংশ হল রাইন উপত্যকা।
• দুটি সমান্তরাল চ্যুতির দুই পাশের ভূমি দুটি নিম্নমুখী আলোড়নের ফলে বসে গেলে মাঝের অংশ একই অবস্থানে থেকে স্তূপ পর্বত গঠন করে।
• দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ অনেক সময় তির্যকভাবে উত্থিত হয়ে স্তূপ পর্বত সৃষ্টি হয়। উদাহরণ: ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বত।