খরা নিয়ন্ত্রণে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে |
খরা নিয়ন্ত্রণে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে–
• খরা এলাকা চিহ্নিতকরণ :
উল্লেখযোগ্য খরাপ্রবণ অঞ্চলগুলিকে চিহ্নিত করে Drought Prone Area Programme (DPAP) এবং Desert Development Programme (DDP)-এর মাধ্যমে খরা সম্পর্কে অগ্রিম ধারণা দেওয়া এবং প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
• বৃক্ষরোপণ:
খরাপ্রবণ এলাকাতে সামাজিক বনসৃজন, কৃষিবনসৃজন, বনমহোৎসব প্রভৃতি কর্মসূচির মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। এতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ে, জল ভূঅভ্যন্তরে প্রবেশ করে ভৌমজলের সঞ্চয় বৃদ্ধি করে ও ভৌমজলস্তরকে ওপরের দিকে এগিয়ে আসতে সাহায্য করে।
• শুষ্ক কৃষি ব্যবস্থ্যা চালু করা :
খরাপ্রবণ অঞ্চলগুলিতে শুষ্ক কৃষি ব্যবস্থা চালু করা এবং কৃষকদের খরা সহ্যকারী বীজ সরবরাহ করা। এতে জলের ঘাটতি কিছুটা কমানো সম্ভব।
• বর্ষার জল সংরক্ষণ :
জলাধার নির্মাণ করে এবং নীচু জায়গাগুলিতে বর্ষার জলকে ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে কৃষিকার্যে ভৌমজলস্তর নিয়ন্ত্রণে অসুবিধা না হয়।
• বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ:
খরাপ্রবণ অঞ্চলের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। যেমন ‘জল ধরো জল ভরো’ (যা পশ্চিমবঙ্গে চলছে), শিশিরের জল সংরক্ষণ, ক্ষুদ্র জলবিভাজিকা স্থাপন ইত্যাদি।
• খরার পূর্বাভাস:
কৃত্রিম উপগ্রহ (INSAT) মারফত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া যায়। ফলে খরা হবে কি না, কী ধরনের শস্য চাষ করা উপযুক্ত হবে সেই সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়।