‘কলিঙ্গে সোঙরে সকল লোেক যে জৈমিনি।’-জৈমিনি কে? ‘সোঙরে’ শব্দের অর্থ কী? কলিঙ্গের প্রজারা কী কারণে জৈমিনিকে স্মরণ করেছিল?

'কলিঙ্গে সোঙরে সকল লোেক যে জৈমিনি।'-জৈমিনি কে? 'সোঙরে' শব্দের অর্থ কী? কলিঙ্গের প্রজারা কী কারণে জৈমিনিকে স্মরণ করেছিল
‘কলিঙ্গে সোঙরে সকল লোেক যে জৈমিনি।’-জৈমিনি কে? ‘সোঙরে’ শব্দের অর্থ কী? কলিঙ্গের প্রজারা কী কারণে জৈমিনিকে স্মরণ করেছিল?
জৈমিনি একজন প্রাচীন ভারতীয় ঋষি বা মুনি। ইনি বেদব্যাস-শিষ্য এবং ‘পূর্ব-মীমাংসা’ গ্রন্থের প্রণেতা। ‘জৈমিনিভারত’ রচয়িতা হিসেবে তিনি প্রবল প্রসিদ্ধি অর্জন করেন।

‘সোঙরে’ শব্দের অর্থ ‘স্মরণ করে’।

জৈমিনিকে স্মরণ করার কারণ

কলিঙ্গবাসীদের বিশ্বাস ছিল প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রকোপে সারা কলিঙ্গরাজ্য যখন সমূলে উৎপাটিত হওয়ার অবস্থা, তখন ঋষি জৈমিনিই পারেন এই চরম দুবস্থার হাত থেকে তাকে রক্ষা করতে। সময় তখন এমনই উচাটন-টালমাটাল, ঝড়-বৃষ্টি-বন্যার এহ্যস্পর্শে তখন কলিঙ্গবাসীরা নাকানিচোবানি খাচ্ছে বলেই তাদের মনে হয়েছিল এই সমূহ বিপদ থেকে ত্রাণ পেতে ঋষি জৈমিনিই তাদের একমাত্র ভরসা। আকাশ কালো মেঘে জৈমিনিকে স্মরণ সমাচ্ছন্ন, সেই কালো মেঘের বুক চিরে উৎপন্ন হয়েছে এমন ভয়াল ও ভয়ংকর বিদ্যুৎরেখা, যা আকাশের বুক ফালা ফালা করে দিয়েছে। কিছু পরেই ঘটছে তীব্র মেঘগর্জন এবং বজ্রপাত। বৃষ্টির সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ঝড়ের দাপট যেন প্রলয় সংকেত দিতে শুরু করেছে। একটানা সাতদিনের বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বয়ে এনেছে তীব্র শিলাবৃষ্টি। সবমিলে প্রকৃতি যেন ধারণ করেছে উন্মাদরূপ। এমন প্রাকৃতিক বিপর্যয় বুঝি কলিঙ্গবাসী এর আগে কখনও দেখেনি। তাই তারা আতঙ্কিত, দিশাহারা। এমত সময়েই তো মানুষ তাঁকে স্মরণ করে, যিনি ত্রাতা অর্থাৎ উদ্ধারকর্তা। পরিষ্কার বুঝতে পারা যায় কলিঙ্গবাসীরা ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করে চরম বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে চেয়েছিল।

Leave a Comment