উদ্বাস্তু সমস্যাসমাধানের ক্ষেত্রে পাঞ্জাব ও পশ্চিমবাংলার ক্ষেত্রে কী ধরনের পার্থক্য ছিল

উদ্বাস্তু সমস্যাসমাধানের ক্ষেত্রে পাঞ্জাব ও পশ্চিমবাংলার ক্ষেত্রে কী ধরনের পার্থক্য ছিল
উদ্বাস্তু সমস্যাসমাধানের ক্ষেত্রে পাঞ্জাব ও পশ্চিমবাংলার ক্ষেত্রে কী ধরনের পার্থক্য ছিল?

ভূমিকা

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্ধে দেশভাগের পর ভারতে উদ্বাস্তু সমস্যার সৃষ্টি হয়। পাকিস্তানসংলগ্ন ভারতের পাঞ্জাব ও পশ্চিমবাংলায় উদ্বাস্তু সমস্যা ছিল তীব্র। ভারত সরকার এই সমস্যাসমাধানের জন্য যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল, তা পাঞ্জাব ও পশ্চিমবাংলার ক্ষেত্রে এক ছিল না।

পাঞ্জাব ও পশ্চিমবাংলার ক্ষেত্রে পার্থক্যসমূহ

জন হস্তান্তরের পার্থক্য

পূর্ব ও পশ্চিম পাঞ্জাবের ক্ষেত্রে জন হস্তান্তর ও সম্পত্তির বিনিময় করা হয়েছিল। ফলে পাঞ্জাবের উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান অনেক সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু বাংলার ক্ষেত্রে তা হয়নি।

আগমনের সময়সীমা

পাঞ্জাবে উদ্বাস্তুদের আগমন ঘটেছিল মাত্র দু-বছরই কিন্তু পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিমবঙ্গে আগত উদ্বাস্তুদের স্রোত দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অব্যাহত ছিল।

আশ্রয়ের সমস্যা

পশ্চিম পাঞ্জাব থেকে ভারতে আগত উদ্বাস্তুরা শুধু পূর্ব পাঞ্জাবে নয়, দিল্লি, রাজস্থানে আশ্রয় গ্রহণ করে। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তান থেকে আগত উদ্বাস্তু পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় গ্রহণ করে। ফলে পশ্চিমবঙ্গের উপর বিপুল চাপ সৃষ্টি হয়।

সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণ

ভারত সরকার পাঞ্জাব ও পশ্চিমবাংলার উদ্বাস্তু সমস্যাসমাধানের ক্ষেত্রে বিমাতৃসুলভ আচরণ করে। পাঞ্জাবের উদ্বাস্তুদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল কিন্তু বাংলার উদ্বাস্তুদের জন্য তা করা হয়নি।

Leave a Comment