‘আমরা’ কবিতা অবলম্বনে বঙ্গপ্রকৃতির বর্ণনা দাও

'আমরা' কবিতা অবলম্বনে বঙ্গপ্রকৃতির বর্ণনা দাও
‘আমরা’ কবিতা অবলম্বনে বঙ্গপ্রকৃতির বর্ণনা দাও

বঙ্গপ্রকৃতির বর্ণনা

সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতায় প্রকৃতির অতুলনীয় রূপ বারবার প্রকাশিত হয়েছে। পাঠ্য ‘আমরা’ কবিতাটি প্রকৃতিমুখ্য না হলেও প্রাকৃতিক বর্ণনার অন্যতম প্রতিভাস সৃষ্টি হয়েছে এ কবিতাতেও। বাঙালি তাঁর তীর্থবরদ মাতৃভূমিতে বাস করে। বঙ্গভূমি মুক্তবেণীর (হুগলির ত্রিবেণী) তীরে বা মুক্তিদায়িনী তীর্থভূমির উপর অবস্থিত। তাঁর বাঁদিকে অর্থাৎ পূর্বদিকে শ্রীহট্ট কমলালেবু উৎপাদনে বিশ্বখ্যাত এবং ডানদিকে অর্থাৎ পশ্চিমে বিহারপ্রদেশে মহুয়া উৎপন্ন হয়।

‘মুক্তবেণীর গঙ্গা যেথায় মুক্তি বিতরে রঙ্গে 
আমরা বাঙালি বাস করি সেই তীর্থে-বরদ বঙ্গে;’

বঙ্গমাতৃকার সুশোভন রূপ, তাঁর অপার সৌন্দর্যের স্নিগ্ধ শ্যামলিমার কথা বলতে গিয়ে কবি বলেছেন–

‘কোল-ভরা যার কনক ধান্য, বুক-ভরা যার স্নেহ’

–এই শস্যশালিনী স্নেহময়ী মায়ের সন্তান আমাদের মতো কবিও। শস্যশ্যামলা বাংলাদেশ সুফলা ধানে এবং পদ্ম ও অপরাজিতার মতো ফুলের সৌন্দর্যে বিভূষিত। তার ভালে অর্থাৎ কপালে বা শিরোদেশে কাঞ্চনজঙ্ঘা কাঞ্চন-মুকুটের মতো শোভা পায়। পাদদেশে বঙ্গোপসাগরের শতসহস্র ঢেউয়ের বিচরণ। কবিকল্পনার চমৎকারিত্বে বঙ্গমাতৃকার এই আপাদমস্তক রূপ কবিতায় প্রাকৃতিক বর্ণনাচ্ছলে অঙ্কিত।

Leave a Comment