আইন অমান্য আন্দোলনে শ্রমিকশ্রেণির ভূমিকা আলোচনা করো

আইন অমান্য আন্দোলনে শ্রমিকশ্রেণির ভূমিকা আলোচনা করো
আইন অমান্য আন্দোলনে শ্রমিকশ্রেণির ভূমিকা আলোচনা করো।

ভূমিকা

গান্ধিজির নেতৃত্বে যে সর্বভারতীয় গণ আন্দোলনগুলি পরিচালিত হয়, তার মধ্যে অন্যতম ছিল লবণ সত্যাগ্রহ বা আইন অমান্য আন্দোলন। তাই লবণের উপর কর বসানোকে কেন্দ্র করে গান্ধিজি আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক দেন। শ্রমিকেরাও এই আন্দোলনে যোগ দেয়।

শ্রমিক ধর্মঘট

১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে গান্ধিজি ডান্ডির বেলাভূমি থেকে একমুঠো লবণ সংগ্রহ করেন। এইভাবে তিনি ইংরেজ সরকারের লবণ আইন ভঙ্গ করেন। এই আইনভঙ্গ ছিল প্রতীকী। এর সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশব্যাপী আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হয়।

মহারাষ্ট্র:
গান্ধিজির গ্রেফতারের পর মহারাষ্ট্রের শোলাপুরের বস্ত্রশিল্পের শ্রমিকেরা ধর্মঘট শুরু করে (৭ মে)। বামপন্থা প্রভাবিত এই শ্রমিকেরা শোলাপুরে সরকারি প্রশাসনকে নিশ্চিহ্ন করে সমান্তরাল প্রশাসন গড়ে তোলে। সাধারণ মানুষ ধর্মঘটি শ্রমিকদের পাশে এসে দাঁড়ায়।

বাংলা:
বাংলাতে সীমিত শ্রমিক আন্দোলন হয়। বালি পাটকলের শ্রমিকেরা ধর্মঘট করে। হাওড়া স্টেশনের কুলিরা কাজ বন্ধ করে দেয়।

অন্যান্য রাজ্য: করাচি বন্দরের শ্রমিকেরা ধর্মঘট করে বন্দর অচল করে দেয়। মাদ্রাজের বাকিংহাম বস্ত্রশিল্পের শ্রমিকেরা ধর্মঘট করে। বিহারের খনিশ্রমিকেরাও ধর্মঘটের পথ অবলম্বন করে।

মূল্যায়ন

আশা করা গিয়েছিল, বিশ্বমন্দার প্রভাব ভারতের সংগঠিত শ্রমিকদের আন্দোলনে যুক্ত করবে, কিন্তু তা হয়নি। অত্যন্ত সীমিতভাবে শ্রমিকশ্রেণি এই আন্দোলনে যোগ দেয়।

Leave a Comment