‘অতীতে যাহার হয়েছে সূচনা সে। ঘটনা হবে হবে, বিধাতার বরে ভরিবে ভুবন বাঙালির গৌরবে।’–প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্তব্যটির তাৎপর্য বোঝাও। |
ভূমিকা
প্রসঙ্গ
পাঠ্য কবিতায় বাঙালির চরিত্রের এক সার্বিক উন্মোচন ঘটিয়েছেন কবি। বাঙালি বীরত্ব, যুদ্ধদক্ষতা, স্থাপত্য-শিল্প-সাহিত্য-বিজ্ঞান-জ্ঞান সবেতেই শ্রেষ্ঠত্বর অধিকারী। সুদূর অতীতে বাঙালি জাতির গৌরবময় যাত্রার সূচনা। আজও বাঙালির শিখরারোহণ চলছে। কবি আশা রাখেন বিশ্বনির্মাতার আশিসে বাঙালি বিশ্বভুবন জুড়ে আত্মগৌরব প্রকাশ করবে।
ব্যাখ্যা
ভারতের অতীত, বাঙালির অতীত যেমন গৌরবময় ছিল ভবিষ্যৎও তেমনই হবে। বিশ্বস্রষ্টা বা বিধাতা স্বয়ং বাঙালিকে সেই আশিস দিয়েছেন। বাঙালির মহামিলনমন্ত্র, বাঙালির সত্যাগ্রহের আদর্শ সমস্ত বিশ্ববাসীকে দীক্ষিত করবে দ্বেষ-হিংসা মুক্ত হয়ে নবমানব হওয়ার মন্ত্রে। মানবতার এই নতুন মন্ত্র অতীত বাঙালি ধর্ম-দর্শন-স্থাপত্য- বিজ্ঞান-শিল্প-সাহিত্য ইত্যাদির মধ্য দিয়ে মহাবিশ্বকে জানানো শুরু করেছিল। আগামীতেই তা পরম হয়ে উঠবে এবং বাঙালির গৌরবে সারা ভুবন ভরে উঠবে বলে কবি আস্থা রেখেছেন।