সাহিতাপাঠের প্রয়োজনীয়তা (এই নিয়ে দুই বান্ধবীর মধ্যে সংলাপ)

সাহিতাপাঠের প্রয়োজনীয়তা (এই নিয়ে দুই বান্ধবীর মধ্যে সংলাপ)
সাহিতাপাঠের প্রয়োজনীয়তা (এই নিয়ে দুই বান্ধবীর মধ্যে সংলাপ)
নীলাঞ্জনা: কি-রে বৈশাখী, কাকুর কাছ থেকে মুজতবা আলির ‘দেশে বিদেশে’-টা এনে দিলি না তো।
বৈশাখী শুধু ওটা নয়, বাবা তোকে মুজতবা আলির রচনাবলীর প্রথম দুটি খণ্ডও দেবে বলেছে। কাল পাবি বুঝলি। নীলাঞ্জনা: তাই নাকি। দারুণ, কাকুর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ওনার দৌলতে কত বই যে পড়া হল-
বৈশাখী : আমারও। বাবা যে আমাকেও কত রকম বই পড়তে দেয়। জানিস সাহিত্যের শিক্ষার চেয়ে বড়ো কোনো শিক্ষা হয় না বলেই, আমার মনে হয়।
নীলাঞ্জনা: ভুল বলিস নি রে। কল্পনাশক্তি-মনের উদারতা আর অনুভূতির জগৎটাই যেন বদলে যেতে থাকে।
বৈশাখী : বিশেষত ভালো বই অন্তরের দৃষ্টিভঙ্গিটাকেই যেন বদলে দেয়। মানুষ আর পৃথিবীকে কেমন বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে যে বিচার-বিশ্লেষণ করা যায়।
নীলাঞ্জনা সেইসঙ্গে ভিন্ন দেশ অচেনা সমাজ কিংবা সম্পূর্ণ অন্য একটা জগতের সন্ধান দেয় সাহিত্য।
বৈশাখী : বিভূতিভূষণের লেখায় প্রকৃতি আর মানুষ কি আশ্চর্য অনাস্বাদিত রূপে ফুটে ওঠে।
নীলাঞ্জনা: আবার মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা তারাশংকরের লেখায় তা সম্পূর্ণ আরেক রকমের- বৈশাখী সত্যিই জগৎ ও জীবনের এত বৈচিত্রা-বৈপরীত্য সাহিত্যপাঠ না করলে কি জানা যায়।
নীলাঞ্জনা: এও এক অভিজ্ঞতা। বই না পড়লে এ পৃথিবীকে ভালোভাবে চেনাই যায় না।
বৈশাখী : ‘যত পড়ি তত শিখি’-এ কথাটা যে কি গভীর সত্য, সেটা সাহিত্যপাঠ করলেই বোঝা যায়।

Leave a Comment