সম্প্রতি দেখা একটি চলচ্চিত্র (এই নিয়ে দুই বোনের মধ্যে সংলাপ) |
অন্তরা : জানিস দিদি গল্প হলেও সত্যি’ না দেখলে আমার বিশ্বাসই হত না যে এমন বিষয় নিয়েও এত সুন্দর সিনেমা বানানো যায়।
সঞ্চারী: সত্যিই আজ থেকে কত বছর আগে তপন সিংহ কী মুনশিয়ানায় বাঙালির একান্নবর্তী সংসার আর সেই সংসারের মূল চাপান-উতোরের জায়গাটা ফুটিয়ে তুলেছিলেন বল।
অন্তরা: যদিও আজ সেই ভাই-ভাইয়ের বউ, দাদু বা দিদা, নাতি-নাতনিদের নিয়ে গড়ে ওঠা যৌথ সংসারটা নেই, তবে কাজের লোককে কেন্দ্র করে আমাদের ফ্যান্টাসিটা কিন্তু একদম একইরকম রয়ে গেছে।
সঞ্চারী : কেমন একটা মনখারাপ করে না?
অন্তরা: হ্যাঁরে দাদুর সঙ্গে নাতনি কিংবা মা-কাকি বা বাবা-কাকাদের সম্পর্কগুলো-
সঞ্চারী : ঝগড়া-মতপার্থক্য এসব তো থাকবেই, কিন্তু একটা প্রাণবন্ত জীবন ছিল।
অন্তরা : ছোটো পরিবারের জাঁতাকলে পড়ে আমরা ওগুলোকে হারাতেই বসেছি। তবে হ্যাঁ সবার পরিবারেই যে এমনটা ঘটেছে তা নয়।
সঞ্চারী : সে তো নিশ্চয়ই। তবে সংসারের সবাইকে বদলে দিয়ে এতো সুন্দর একটা বার্তা দিয়ে সিনেমাটা শেষ হয়।
অন্তরা: যেমন পরিচালনা, তেমন চিত্রনাট্য, অভিনয়, বিশেষত রবি ঘোষ তো অনবদ্য।
সঞ্চারী: শেষ দৃশ্যটার কথা ভাব। কুয়াশায় ঝাপসা হয়ে রবি ঘোষ কেমন যেন মিলিয়ে যাচ্ছেন। তুই যে ফ্যান্টাসিটার কথা বলছিলি, তার অমন আশ্চর্য প্রকাশ।
অন্তরা : সুযোগ পেলেই আরেকবার দেখব, বল দিদি।
সঞ্চারী: অবশ্যই।