শৌজন্য আর শিষ্টাচারবোধের প্রয়োজনীয়তা (এই নিয়ে দুই বান্ধবীর মধ্যে সংলাপ)
|
সাথী: আজকাল সকলেই কেমন যেন একটু উদ্ধত আর বুঢ় হয়ে উঠছে না অপর্ণা।
অপর্ণা: হ্যাঁরে, ধৈর্য কিংবা সহিষ্কৃতার অভাব যেন আমাদের আচরণে প্রতিদিন একটু একটু করে প্রকট হচ্ছে।
সাথী: অথচ সৌজন্য আর শিষ্টাচার হচ্ছে এক রকমের শিক্ষা। ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিংবা সামাজিক জীবন এছাড়া অচল।
অপর্ণা: ঠিক তাই। সভ্যতা যতই প্রসার লাভ করেছে, মানুষের সামাজিক আচরণবিধি ততই বিশিষ্টরূপ পেয়েছে। পৃথিবীর প্রতিটি সুসভ্য জাতির ভূষণ হল তাদের সৌজন্যতাবোধ।
সাথী: আসলে সৌজন্যতা আর শিষ্টাচারের মধ্যে একটা স্নিগ্ধ সৌন্দর্য, আনন্দ এবং শুভবোধ আছে। যা ব্যক্তিত্বের অন্তরের মনুষ্যত্বকেই প্রকাশ করে।
অপর্ণা: মানুষ ইতিহাসের দীর্ঘ পথ-পরিক্রমায় এগুলিকে অর্জন করেছে। সেই আলেকজান্দার আর পুরুর গল্প থেকে আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ান ও ইউরোপীয় সাহেবের ঘটনায় বারবার সেই সত্যই ফুটে উঠেছে-
সাথী: শিষ্ট-ভদ্র আচরণ কিংবা সৌজন্যতার অভাব ঘটলে তো মানুষ ক্রমশ তার মানবিক গুণগুলিাকেই হারাতে থাকবে।
অপর্ণা: না। আমরা প্রত্যেকে যদি এভাবে ভাবি, তাহলে হয়তো সাময়িক উন্নতা কিংবা রূঢ়তাকে পরিত্যাগ বা বর্জন করতে পারব।
সাথী : তাহলে কোনো ক্ষেত্রেই সৌজন্যতা বা শিষ্টাচারের অভাব লক্ষ করা যাবে না।