শব্দগঠন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর

শব্দগঠন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর
শব্দগঠন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর

১ শব্দ কাকে বলে?

একাধিক ধ্বনি মিলিত হয়ে ধ্বনির চেয়ে বৃহত্তর অর্থপূর্ণ একক গড়ে তুললে তাকে শব্দ বলে।

২। একটি সারণির সাহায্যে শব্দের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।

৩। মৌলিক শব্দ কাকে বলে?

যে শব্দকে আর বিশ্লেষণ করা যায় না তাকে মৌলিক শব্দ বলে। যেমন- নাক, কান, চোখ, এক, তিন, হ্যাঁ, না, ইশ্, উফ্, আঃ ইত্যাদি।

৪। সাধিত শব্দ কাকে বলে?

সমাসবদ্ধ বা প্রত্যয়যুক্ত শব্দকে বলে সাধিত শব্দ।
সাধিত শব্দকে বিশ্লেষণ করা যায়। যেমন-পিতাপুত্র (পিতা ও পুত্র), আঁখিপাখি (আঁখিরূপ পাখি), চলন্ত (গঠনগতভাবে চল্ + অন্ত), বর্তমান (বৃৎ + শানচ্)।

৫। যৌগিক শব্দ কাকে বলে?

৫। যৌগিক শব্দ কাকে বলে?

যেসব সাধিত শব্দের ব্যুৎপত্তিগত ও প্রচলিত বা ব্যবহারিক অর্থের কোনো প্রভেদ নেই তাদের যৌগিক শব্দ বলে। যেমন-স্থলজ (ব্যুৎপত্তিগত অর্থ-যা স্থলে জন্মায়, প্রচলিত অর্থও তাই), গাইয়ে (গান করায় পটু), তেলেভাজা (তেলের দ্বারা ভাজা) ইত্যাদি।

৬। রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ কাকে বলে?

যেসব সাধিত শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও প্রচলিত অর্থও ভিন্ন ভিন্ন হয় তাদের রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ বলে। যেমন-গবাক্ষ (ব্যুৎপত্তিগত অর্থ-গোরুর চোখ, ব্যবহারিক বা প্রচলিত অর্থ-জানলা), হরিণ-হরণকারী/পশু, অন্ন-খাদ্য/ভাত, ঝি-কন্যা/পরিচারিকা, প্রবীণ-বীণা বাজাতে পটু/বয়স্ক ইত্যাদি।

৭। যোগরূঢ় শব্দ কাকে বলে?

যেসব সাধিত শব্দ একাধিক ব্যুৎপত্তিগত অর্থের যে-কোনো একটিকেই কেবল বোঝায় তাকে যোগরূঢ় শব্দ বলে। যেমন-পঙ্কজ: ব্যুৎপত্তিগত অর্থ যা পাঁকে জন্মায়। পাঁকে অনেক কিছুই জন্মায় কিন্তু পঙ্কজ শব্দটির ব্যবহারিক অর্থ কেবল পদ্মফুলকেই বোঝায়। ‘তুরঙ্গম’-যা তাড়াতাড়ি যায়/ঘোড়া, বীণাপানি-বীণা ধারণকারী, সরস্বতী ইত্যাদি।

৮। পদ কাকে বলে?

শব্দ বিভক্তিযুক্ত হয়ে বাক্যে ব্যবহারের যোগ্যতা লাভ করলে, তাকে পদ বলে।

৯। পদ কত প্রকার ও কী কী?

পদ দুই প্রকার। যথা- নামপদ ও ক্রিয়াপদ।

১০। শব্দ ও পদের পার্থক্য আলোচনা করো।

এক বা একাধিক ধ্বনির সমন্বয়ে গঠিত অর্থবোধক উচ্চারণযোগ্য একককে শব্দ বলে। বাক্যে ব্যবহৃত বিভক্তিযুক্ত শব্দকে পদ বলে। শব্দ বিভক্তিযুক্ত হয়ে পদ গঠিত হয় অর্থাৎ পদের মূলে আছে শব্দ। শব্দের বাক্যে ব্যবহারযোগ্যতা নেই। পদের বাক্যের বাইরে অস্তিত্ব নেই। শব্দ স্বতন্ত্রভাবে ব্যবহৃত হয় ও অভিধানে স্থান পায়।

১১। প্রাতিপাদিক কী?

ধাতু ও প্রত্যয় মিলে যা গঠন করে, তাকে বলে প্রাতিপাদিক। প্রাতিপাদিক বিভক্তিহীন।

Leave a Comment