রক্তদান জীবনদান (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)

রক্তদান জীবনদান (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)
রক্তদান জীবনদান (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)
পরমা: আমাদের ক্লাবের তরফ থেকে একটা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছি। তুই কি যাবি মনীষা?
মনীয়া: তোদের পাড়ায় নাকি। অবশ্যই যাব। খুব ভালো উদ্যোগ নিয়েছিস রে।
পরমা : কথাতেই বলে রক্তদান জীবনদান। এমন একটা মহৎ কাজে যুক্ত হতে পারলে নিজেরও ভালো লাগে।
মনীয়া: আমার যেটা সবচেয়ে আনন্দের মনে হয়; রক্তই পারে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের সমস্ত বিভাজনটাকে এক লহমায় ভেঙে দিতে। 
পরমা: একদম খাঁটি কথা। অসুস্থ একজন মানুষের শরীরে হিন্দু, মুসলমান বা খ্রিস্টানের রক্ত ঢোকে না; অন্য একজন মানুষের রক্তই আসলে তার প্রাণ বাঁচায়।
মনীয়া: এটাই সবচেয়ে বড়ো কথা। মানুষে-মানুষে ভেদাভেদের পাঁচিলটা যে মেকি, রক্তদান সেটাই প্রমাণ করে দেয়।
পরমা: কথায় বলে রক্তের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কে পৃথিবীর সমস্ত মানুষই তো বাঁধা, তাই না।
মদীনা: ঠিক তাই। কখন যেতে হবে বলো।
পরমা : আর কিছুক্ষণ পরে।
মনীয়া : দুজনে একসঙ্গে রক্তদান করব।
পরমা: নিশ্চয়ই। তাহলে আসছি। একটু পরেই দেখা হচ্ছে।

Leave a Comment