রক্তদানের উপযোগিতা সম্পর্কে ছাত্র ও শিক্ষকের কাল্পনিক সংলাপ

রক্তদানের উপযোগিতা সম্পর্কে ছাত্র ও শিক্ষকের কাল্পনিক সংলাপ

রক্তদানের উপযোগিতা সম্পর্কে ছাত্র ও শিক্ষকের কাল্পনিক সংলাপ।
রক্তদানের উপযোগিতা সম্পর্কে ছাত্র ও শিক্ষকের কাল্পনিক সংলাপ।
শিক্ষক: রতন, যাচ্ছ কোথায়? তোমাকে দেখে খুব চিন্তিত মনে হচ্ছে!
ছাত্র: স্যার, আমার মায়ের ভীষণ অসুখ। আগামী বুধবার অপারেশন। সেজন্য সামনের হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে যাচ্ছি। তিন বোতল B+ রক্ত লাগবে।
শিক্ষক: বলো কী রতন! কেন, তোমার মায়ের কী হয়েছে?
ছাত্র: মায়ের ওপেন হার্ট সার্জারি হবে। মা এখন হাসপাতালেই ভরতি আছেন। রক্তের জোগান কম, তাই সকাল থেকে হন্যে হয়ে ঘুরছি।
শিক্ষক: তা বুঝলাম, কিন্তু তোমার জন্য কী করা যায় ভেবে পাচ্ছি না। আচ্ছা শোনো, ব্লাড ব্যাংকে তো লাইন দিয়ে রক্ত সংগ্রহ করতে হবে। চলো আমিও তোমার সঙ্গে যাই।
ছাত্র: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার
শিক্ষক: ঠিক আছে! তবে শোনো, আমাদের পাড়ায় আট-দশ জন ব্লাড ডোনার আছেন, রক্তের জোগাড় হয়তো হয়ে যাবে। আগে যেটা পাওয়া যাবে সেটাই গ্রহণ করতে হবে।
ছাত্র: স্যার, রক্তের জোগানের সমস্যা তো লেগেই আছে। এর কোনো সুরাহা কি নেই?
শিক্ষক: অবশ্যই, রক্তদান জীবন দানের সমান। রক্তদানের বিষয়ে সকলকে সচেতন করে তুলতে হবে। বিশেষ করে তরুণ সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাহলে দেশের কোনো মুমূর্ষু রোগী রক্তের অভাবে মারা যাবে না।
ছাত্র: আমার মায়ের অপারেশনের জন্য রক্তের দরকার বলে আমি এর উপযোগিতা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পারছি।
শিক্ষক: হ্যাঁ, তোমাদের মতো যুবসমাজকে এ ব্যাপারে অগ্রণী হতে হবে।
ছাত্র: স্যার, রক্ত সংগ্রহ করলেই তো হবে না, তার রক্ষণাবেক্ষণ?
শিক্ষক : তা তো অবশ্যই, রক্ত সংগ্রহ করে তার উপযুক্ত সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার। তা ছাড়া বিশুদ্ধ রক্ত দরকার। যে-কোনো লোকের কাছ থেকে রক্ত নিলেই হবে না, উপযুক্ত পরীক্ষা করে রক্ত সংরক্ষণ করে গ্রহীতাকে দেওয়া দরকার।

Leave a Comment