মোবাইল ফোনের অত্যধিক ব্যবহার (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ) |
সংযুক্তা: কালকে ক্লাস টুয়েলভের তমালিকাদির কি হয়েছে শুনেছিস?
আদৃতা: না। কেউ কিছু বলেনি তো। কি হয়েছে রে?
সংযুক্তা: মোবাইলে কথা বলতে বলতে স্কুল থেকে ফিরছিল। রাস্তা পেরোনোর সময় একটা গাড়ি ধাক্কা মারে। প্রাণে বাঁচলেও হাত-পা ভেঙে গেছে।
আদৃতা: সর্বনাশ। শিক্ষিত সচেতন মানুষ হয়ে আমরাই যদি প্রাথমিক বিষয়গুলোকে অবজ্ঞা করি, তাহলে বিপদ তো ঘটবেই।
সংযুক্তা: শুধু পথেঘাটে নয়, ঘরে-বাসে-স্টেশনে-হাসপাতালে মোবাইল ফোনের অত্যধিক ব্যবহারে প্রাণ একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে না।
আদৃতা: সত্যিই। স্মার্ট ফোন আসার পরে তো লাগামছাড়া, আর কমবেশি বেশিরভাগ মানুষই যেন এই সংক্রমণের শিকার।।
সংযুক্তা: অথচ যদি নিছক প্রয়োজনের কথা ভাবিস, তাহলে এত ঘন ঘন দেখার, মানে ব্যবহারের কোনো দরকারই নেই।
আদৃতা: আসলে পুরোটাই আমাদের বাতিক আর নেশায় পরিণত হয়েছে।
সংযুক্তা: প্রাণ খুলে গল্প করা-বই পড়া-খেলা সব ভুলে আমরা মোবাইলের ওই ভার্চুয়াল মিথ্যে জগৎটাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচব ভাবছি।
আদৃতা: বড়ো সত্যি কথা বলেছিস। এভাবে একাকিত্বকে কাটিয়ে ওঠা যায় না। বরং বিপদ বাড়ে-
সংযুক্তা: আর সেটাই ঘটছে। নানারকম বিপদের সম্মুখীন হচ্ছি আমরাও-
আদৃতা: মনঃসংযোগ, একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও ধৈর্য যেমন কমছে; তেমনই অস্থিরতা, অসহন্বিতা ও চাঞ্চল্য বাড়ছে।
সংযুক্তা: তুই যখন এতটা সচেতেন। নিজে কি করিস।
আদৃতা: আগে বুঝতাম না। এখন নিজেই টের পেয়েছি। ফোন এলে কথা বলি। দরকারে নেট সার্চ করতেই হয়। তবে গেম-ফেসবুক বা অন্য কিছুর প্রতি কোনো আকর্ষণ নেই। মায়েরটা ফোনটা দিয়েই কাজ চলে যায়।
সংযুক্তা: আমারও তাই। প্রলোভনগুলো এড়িয়ে সমস্যাটা বুঝে ফেললে, আর কোনো ভয় থাকে না।