ভারতে সড়কপথ পরিবহণের গুরুত্ব আলোচনা করো

সূচিপত্র

ভারতে সড়কপথ পরিবহণের গুরুত্ব আলোচনা করো অথবা, ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সড়কপথের গুরুত্ব লেখো

ভারতে সড়কপথ পরিবহণের গুরুত্ব আলোচনা করো।
ভারতে সড়কপথ পরিবহণের গুরুত্ব আলোচনা করো।

গ্রামীণ উন্নতি

ভারতের প্রায় 68% মানুষ গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে। ভারতের মতো বিশাল দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের যোগাযোগ ও পরিবহণের মাধ্যম হিসেবে সড়কপথের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু বহু গ্রামাঞ্চলে এখনও রেলপথ বা অন্যান্য পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এইসব গ্রামাঞ্চলের সঙ্গে শহর, বাজার, শিক্ষাকেন্দ্র, শিল্পকেন্দ্রের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হল সড়কপথ। তাই বলা যায়, ভারতের গ্রামীণ উন্নতিতে সড়কপথের গুরুত্বই প্রধান।

পণ্য পরিবহণ

কৃষিজ, খনিজ, প্রাণীজ, বনজ প্রভৃতি সকল প্রকার পণ্য পরিবহণে সড়কপথের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। কারণ – সড়কপথের মাধ্যমেই পণ্যদ্রব্য নিরাপদে সরাসরি গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়া যায়।

শিল্পের বিকাশ

ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ সকলপ্রকার শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও শিল্পজাত দ্রব্য বাজারে পাঠানোর ক্ষেত্রে সড়কপথের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

আমদানি-রপ্তানি

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বন্দরগুলির সঙ্গে পশ্চাদভূমির যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম হল সড়কপথ। সুতরাং, সড়কপথের বাণিজ্যিক গুরুত্ব অপরিসীম।

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে

ভারতের সীমান্ত অঞ্চলে বিশেষত মরু সীমান্তে সামরিক বাহিনীর প্রয়োজনীয় রসদ ও সাজসরঞ্জাম নিয়মিত সরবরাহের ক্ষেত্রে এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সড়কপথগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ত্রাণ সরবরাহ

বন্যা, খরা, ভূমিকম্প প্রভৃতি বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ ও বিপদগ্রস্ত মানুষগুলিকে উদ্ধার করার কাজে সড়কপথগুলির গুরুত্ব অপরিসীম।

দুর্গম অঞ্চলের উন্নতি

দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে যেখানে রেল পরিবহণ সম্ভব নয় সেখানে সড়কপথই যোগাযোগের একমাত্র ভরসা।

অন্যান্য গুরুত্ব

এ ছাড়া (i) শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রসার, (ii) কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, (iii) সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক সুস্থিরতা দান প্রভৃতি ক্ষেত্রে সড়কপথের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।,

ভারতে সড়কপথ পরিবহণের গুরুত্ব আলোচনা করো

ভারতে সড়কপথ পরিবহণের গুরুত্ব আলোচনা করো।
ভারতে সড়কপথ পরিবহণের গুরুত্ব আলোচনা করো।

গ্রামীণ উন্নতি

ভারতের প্রায় 68% মানুষ গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে। ভারতের মতো বিশাল দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের যোগাযোগ ও পরিবহণের মাধ্যম হিসেবে সড়কপথের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু বহু গ্রামাঞ্চলে এখনও রেলপথ বা অন্যান্য পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এইসব গ্রামাঞ্চলের সঙ্গে শহর, বাজার, শিক্ষাকেন্দ্র, শিল্পকেন্দ্রের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হল সড়কপথ। তাই বলা যায়, ভারতের গ্রামীণ উন্নতিতে সড়কপথের গুরুত্বই প্রধান।

পণ্য পরিবহণ

কৃষিজ, খনিজ, প্রাণীজ, বনজ প্রভৃতি সকল প্রকার পণ্য পরিবহণে সড়কপথের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। কারণ – সড়কপথের মাধ্যমেই পণ্যদ্রব্য নিরাপদে সরাসরি গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়া যায়।

শিল্পের বিকাশ

ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ সকলপ্রকার শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও শিল্পজাত দ্রব্য বাজারে পাঠানোর ক্ষেত্রে সড়কপথের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

আমদানি-রপ্তানি

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বন্দরগুলির সঙ্গে পশ্চাদভূমির যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম হল সড়কপথ। সুতরাং, সড়কপথের বাণিজ্যিক গুরুত্ব অপরিসীম।

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে

ভারতের সীমান্ত অঞ্চলে বিশেষত মরু সীমান্তে সামরিক বাহিনীর প্রয়োজনীয় রসদ ও সাজসরঞ্জাম নিয়মিত সরবরাহের ক্ষেত্রে এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সড়কপথগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ত্রাণ সরবরাহ

বন্যা, খরা, ভূমিকম্প প্রভৃতি বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ ও বিপদগ্রস্ত মানুষগুলিকে উদ্ধার করার কাজে সড়কপথগুলির গুরুত্ব অপরিসীম।

দুর্গম অঞ্চলের উন্নতি

দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে যেখানে রেল পরিবহণ সম্ভব নয় সেখানে সড়কপথই যোগাযোগের একমাত্র ভরসা।

অন্যান্য গুরুত্ব

এ ছাড়া (i) শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রসার, (ii) কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, (iii) সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক সুস্থিরতা দান প্রভৃতি ক্ষেত্রে সড়কপথের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।,

ভারতের জলপথ পরিবহণের গুরুত্ব আলোচনা করো

ভারতের জলপথ পরিবহণের গুরুত্ব আলোচনা করো।
ভারতের জলপথ পরিবহণের গুরুত্ব আলোচনা করো।
ভারত নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় এবং তিনদিক সমুদ্রবেষ্টিত হওয়ায় অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জলপথের গুরুত্ব অপরিসীম।

সুলভ ও উন্মুক্ত পরিবহণ

জলপথ নির্মাণ বা রক্ষণাবেক্ষণে খরচ নামমাত্র। তাই অন্যান্য মাধ্যমের জলপথ তুলনায় পরিবহণে খরচ খুব কম হয়। তা ছাড়া জলপথে কোনো অবরোধ, যানজট হয় না। ফলে, পরিবহণে উন্মুক্ত ও সুলভ জলপথের গুরুত্ব অসামান্য।

ভারী পণ্য পরিবহণ

খনিজ তেল, আকরিক লোহা, কয়লা, ইস্পাত, মোটরগাড়ি, ট্রাক প্রভৃতি বিভিন্ন ভারী পণ্যসামগ্রী ও মেশিনপত্র পরিবহণের ক্ষেত্রে জলপথ সবচেয়ে বেশি উপযোগী।

শিল্পোন্নতি

শিল্পক্ষেত্রে জলপথ পরিবহণ অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, জলপথে পরিবহণ ব্যয় কম হওয়ায় শিল্প উৎপাদনেও ব্যয় কম হয়। ফলে, শিল্প লাভদায়ক হয়ে ওঠে ও তার বিকাশ ত্বরান্বিত হয়। যেমন- হুগলি শিল্পাঞ্চল।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসার

উপকুলীয় সমুদ্র ছাড়া বাকি অংশে কোনো বাধানিষেধ থাকে না এবং নির্দিষ্ট কোনো পথ নেই। ফলে, জলপথ পরিবহণের মাধ্যমে বিশ্বের যে-কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অর্থাৎ, জলপথ পরিবহণের বাণিজ্যিক গুরুত্ব সর্বাধিক।

অভ্যন্তরীণ পরিবহণ

দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে সুলভে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণে নদী ও খালপথগুলির গুরুত্ব অপরিসীম। এ ছাড়া উপকূলীয় জলপথের মাধ্যমে দেশের একাধিক বন্দরের মধ্যে যাত্রী ও পণ্য পরিবাহিত হয়।

শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশ

জলপথের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছাড়াও শিক্ষা ও সংস্কৃতির আদানপ্রদান ঘটে।

পর্যটন শিল্পের বিকাশ

ভারতের আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লাক্ষাদ্বীপ, সুন্দরবন, কেরালার কয়াল ও উপকূলের বিভিন্ন অংশে পর্যটন শিল্পের বিকাশে জলপথের ভূমিকাই প্রধান। জলপথের এই অপরিসীম গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে জলপথকে ‘উন্নয়নের জীবনরেখা’ বলে অভিহিত করা হয়।

Leave a Comment