বিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক সাহিত্যসভা (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)

বিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক সাহিত্যসভা (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)
বিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক সাহিত্যসভা (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)
মিতুল : জানিস বিদিশা এবারের সাহিত্যসভার জন্য এখনও কিছু জমা দিয়ে উঠতে পারিনি। তুই কী করবি? 
বিদিশা: আমি তো অনেক আগেই জমা দিয়ে দিয়েছি এবং আমার লেখাটি নির্বাচিতও হয়েছে। কালকেই কিন্তু জমা দেবার শেষ দিন। তুই আর দেরি করিস না।
মিতুল: তুই কী লিখেছিস? গল্প না প্রবন্ধ?
বিদিশা: আমি রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তী নিয়ে লিখেছি, আসলে গরমের ছুটির আগে এটিই শেষ সাহিত্যসভা, আর সামনেই তো পঁচিশে বৈশাখ তাই।
মিতুল: বাঃ। খুব ভালো বলেছিস তো, তাহলে আমিও এই দিনটিকেই মনে রেখে একটি একক নৃত্য পরিবেশন করব।
বিদিশা: তুই কি ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’- এই গানের নাচটি করবি?
মিতুল : নারে আমি ভাবছি ‘দারুণ অগ্নিবাণে রে, হৃদয় তৃষায় হানে রে’- এই গানের নাচটি করব। আচ্ছা শোন প্রতিবারের মতন এবারেও সাহিত্যসভার জন্য ফুল নিয়ে আসব। আর এবার সভাপতি কে হবেন ঠিক হয়েছে?
বিদিশা: ঠিক জানি না, তবে মনে হয় অনিতাদি, ইতিহাসের শিক্ষিকা। জানিস এইবারের সাহিত্যসভা ঘর রবীন্দ্রনাথের ছবি, গান, ছড়া, কবিতা, ছোটোগল্পের দু-একটি চরিত্র, নৃত্যনাটোর নানান ধরনের ছবি দিয়ে সাজানো হবে। আমার মনে মনে কী যে আনন্দ হচ্ছে তোকে আর কী বলব।
মিতুল : ঠিক বলেছিস। মাঝেমধ্যে এমন এক একটা দিন আসে যেগুলিকে নিয়ে কত কী ভাবা যায়। এক লহমায় মনের মধ্যে নানান জিনিস উথাল-পাতাল করতে থাকে, আর রবি ঠাকুর হলে তো কিছু বলারই নেই। তবে এবার চল বাড়ি যাই। আমাকে আবার নাচটি প্র্যাকটিস করতে হবে।
বিদিশা: চল।

Leave a Comment