বিজ্ঞানমনস্ক সচেতন মনই পারে কুসংস্কার দূর করতে (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ) |
সায়নী: আজ বিকেলে চৌপথীর মোড়ে আমাদের সঙ্গে থাকবি সাগ্নিক?
সাগ্নিক : কেন রে? কোনো অনুষ্ঠান আছে।
সায়নী: ঠিক অনুষ্ঠান নয়। আমি, দোয়েল, তিতির, সৌভিকদা, সোহা, অজন্তা, সুদীপ্ত- এরা মিলে ‘বিজ্ঞান বাণী’ নামে একটা দল তৈরি করেছি। আসলে মানুষের মনে জমে থাকা অজ্ঞতা আর অজ্ঞানতাই হল সব কুসংস্কারের মূলে, এর বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই।
সাগ্নিক: শুনে তো ভালোই লাগছে। কিন্তু কাজটা করছিস কীভাবে?
সায়নী: তাহলে প্রথমে তোকে আজকের ব্যাপারটা বলি। বিখ্যাত সর্পবিশেষজ্ঞ ডাঃ সোমনাথ খাস্তগীর আসছেন। তুই নিশ্চয়ই জানিস বেশিরভাগ মানুষের মনেই সাপ নিয়ে নানান ভুল ধারণা আছে।
সাগ্নিক: হ্যাঁ, মানে সাপের মাথায় মণি আছে, সাপ দুধ খায়- এইসব তো?
সায়নী : বা সাপ কামড়ালে ওঝার কাছে যাওয়া কিংবা ঝাড়ফুঁক করা। বিশেষত গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা এখনও সাপ নিয়ে যে কত রকমের ভ্রান্ত। বিশ্বাস পোষণ করে, তা হয়তো আমরা কল্পনাও করতে পারি না।
সাগ্নিক: বুঝেছি। আজ চৌপথীতে ফাল্গুনী মেলা, অনেক দূর-দূরান্তের গাঁ-গঞ্জ থেকে লোকজন আসে; তাই সাপ সম্পর্কে বিভ্রান্তি ঘোচাতে আজকের দিনটাকে বেছে নিয়েছিস।
সায়নী: ঠিক তাই।
সাগ্নিক : কিন্তু আমাদের ভূমিকাটা কী হবে?
সায়নী: সাপ নিয়ে বিভিন্ন রকমের বৈজ্ঞানিক সত্যের দিকগুলি নিয়ে ডেমোনস্ট্রেশান দেবেন ডঃ খাস্তগীর। আমরা কয়েকদিন ধরে এ বিষয়ে নানা ধরনের ফেস্টুন-পোস্টার ছবি তৈরি করেছি। সেগুলো প্রদর্শিত হবে। আর প্রোজেক্টর মেশিন জোগাড় করা হয়েছে। সাপ নিয়ে একটি ছোটো তথ্যচিত্রও দেখানো হবে। সৌভিকদা এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক অনুমতিও জোগাড় করেছে।
সাগ্নিক : বাহ। তোরা দারুণ কাজ করছিস। এর সঙ্গে যুক্ত হতে না পারলে আমারই খারাপ লাগবে। এই মুহূর্ত থেকে আমিও বিজ্ঞান বাণী’-র একজন সদস্য হলাম।